সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তোলাবাজি এবং হুমকি দেওয়ার পৃথক অভিযোগে এবার সল্টলেক ও কামারহাটি পুরসভার দুই তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে শনিবার বিশেষ পুলিশি অভিযান শুরু হল৷ এঁরা হলেন সল্টলেকের নারায়ণপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ডাম্পি মণ্ডল এবং কামারহাটির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজিতা ঘোষ৷ দুই কাউন্সিলরের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ দু’জনকেই দেখতে পায়নি৷ সংবাদ মাধ্যমের তরফেও বারে বারে দুই জনপ্রতিনিধির বাড়িতে গিয়ে কারও দেখা পাওয়া যায়নি৷ দু’জনেরই মোবাইল বন্ধ৷ বিধাননগর কমিশনারেটের ক্রাইম কনফারেন্সে এদিনের বৈঠকে পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিং সংশ্লিষ্ট থানার অফিসারদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “সিন্ডিকেট ইস্যুতে কোনও অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্হা নেওয়া হবে৷ দল-মত-রং না দেখেই আইন মেনে ব্যবস্থা নিতে হবে৷ কাউকেই ‘জিরো টলারেন্স’ ছাড় দেওয়া যাবে না৷” এদিন আবার তৃণমূলভবনে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সিন্ডিকেট ইস্যুতে বলেছেন, “এ ধরনের অভিযোগ উঠে এলে আইন আইনের পথে চলবে৷ প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে৷ তৃণমূল নেতা বা কর্মী অভিযুক্ত হলেও কোনও রেয়াত করা হবে না৷” মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সিন্ডিকেট-তোলাবাজি ইস্যুতে গোটা রাজ্যেই সরকার যে একের পর এক কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে তা কামারহাটি ও নারায়ণপুরের ঘটনায় ফের প্রমাণিত হল৷
সল্টলেক পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের লিচুবাগান এলাকায় একটি একতলা বাড়ি কেনেন অনুপপ্রসাদ শর্মা৷ চারবছর আগে বাড়ি কিনলেও অদ্যাবধি সেখানে বাস শুরু করতে পারেননি৷ সল্টলেকের পুরপিতা তোলাবাজির অভিযোগে অনিন্দ্য গ্রেফতার হতেই সাহস পেয়ে পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিংয়ের কাছে বাড়িতে ঢুকতে না পারার কারণ জানিয়ে চিঠি দেন৷ সেখানে উল্লেখ করেন, স্থানীয় কাউন্সিলর ইমতিয়াজ আলি ওরফে ডাম্পি মণ্ডল দশ লক্ষ টাকা না দিলে বাড়ি ঢুকতে দিচ্ছেন না৷ এর পরই জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে ডাম্পি-সহ চারজনের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানা মামলা শুরু করে৷ অন্যদিকে কামারহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অজিতা ঘোষ টোটো চালানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য দশ হাজার টাকা চেয়ে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ৷ কাউন্সিলরের স্বামী তাপস দত্তের নেতৃত্বে ধারালো অস্ত্র নিয়ে অভিযোগকারী টোটো চালক শিবু নাগের উপর হামলা হয়েছে বলেও অভিযোগ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.