ছবি: ফাইল
স্টাফ রিপোর্টার: পরিবেশ বাঁচিয়ে বড় আবাসন তৈরিতে তিন দাওয়াই পরিবেশ দফতরের৷ বড় আবাসন তৈরির আগেই এবার পরিবেশ দফতরে জমা দিতে হবে কনভার্সন ক্লিয়ারেন্স বা জমির চরিত্রগত পরিবর্তনের ছাড়পত্র, ‘আরবান ল্যান্ড সিলিং সার্টিফিকেট’ ও আবাসন তৈরির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বা ‘আউটলাইন স্কেচ’৷ ২০ হাজার স্কোয়ার মিটার বা তার বেশি আবাসনের ক্ষেত্রে এই তিন ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ সোমবার শোভনবাবু জানান, “এতদিন পর্যন্ত জমির চরিত্রগত পরিবর্তনের ছাড়পত্র ও আরবান ল্যান্ড সিলিংয়ের বিষয়টি থাকলেও তা কেউ মানত কেউ মানত না৷ এতে সমস্যায় পড়তে হত পরিবেশ দফতরকে৷” কিন্তু এবার সব তথ্যই আগে জমা দেওয়ার পর মিলবে পরিবেশ দফতরের প্রাথমিক ছাড়পত্র৷
পরিবেশ দফতর সূত্রে খবর, পরিবেশ দফতরের থেকে প্রাথমিক ছাড়পত্র নেওয়ার আগেই জমির চরিত্রগত পরিবর্তনের জন্য ডিএম বা এলআরসি দফতরের কাছ থেকে শংসাপত্র আনতে হবে৷ কোন পরিস্থিতিতে জমির চরিত্র পরিবর্তন করা হয়েছে তা ও লেখা থাকতে হবে তাতে৷ অন্যদিকে সাড়ে সাত কাঠার উপর যে কোনও জমিতে আবাসন তৈরি করতে গেলে জমি অধিগ্রহণ দফতরের কাছ থেকে আরবান ল্যান্ড সিলিংয়ের ছাড়পত্রও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে৷ এমনকী, যে বড় আবাসন তৈরি হচ্ছে তাতে কত ফ্ল্যাট হবে, কত লোক থাকবে, নিকাশি ব্যবস্থা কেমন হবে, পানীয় জল সরবরাহের কী ব্যবস্থা থাকবে বা তা পরিবেশ রক্ষা করে করা হচ্ছে কিনা ইত্যাদি কোনও তথ্যই থাকত না পরিবেশ দফতরের কাছে৷ তাই এবার নির্মাণকারী সংস্থাকে পরিবেশ দফতরের কাছ থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার আগে জমা দিতে হবে ইমপ্যাক্ট আউটলাইন স্কেচ৷ যাতে নির্মাণকারী সংস্থার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানা যায়৷ তবে এই শর্তপূরণের কড়াকড়ি ২ লক্ষ স্কোয়ার ফুট বা ২০ হাজার স্কোয়ার মিটার এলাকার বেশি জায়গা জুড়ে আবাসনের ক্ষেত্রেই কার্যকর৷ তবে এই শর্ত মানার পর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে পরিবেশ দফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটি৷ তার পরেই মিলবে ছাড়পত্র৷ এতে পরিবেশ দফতরের কাছে বড় আবাসনের ডাটাবেসও তৈরি হবে৷
এতদিন পর্যন্ত পরিবেশ দফতরের প্রাথমিক ছাত্রপত্র দেখিয়েই নির্মাণকাজ শুরুর জন্য পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান পেয়ে যেত নির্মাণকারী৷ কিন্তু এবার এই বিষয়ে কড়া হবে পরিবেশ দফতর৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.