Advertisement
Advertisement

আগামী সপ্তাহেই জাতীয় দলের স্বীকৃতি পাচ্ছে তৃণমূল

৩ সেপ্টেম্বর তিনি ত্রিপুরা যাচ্ছেন৷ সেখানেই দীপার সঙ্গে কথা বলে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা হবে৷

TMC will be accepted as National Party from next week
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 25, 2016 9:01 am
  • Updated:June 22, 2022 2:41 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: রিও ওলিম্পিকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও তাঁকে যোগ্য সম্মান দেয়নি ত্রিপুরা সরকার৷ সেখানকার বাম সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে দীপা কর্মকারকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস৷ দীপার পরিবারের সঙ্গে দু’দফায় ইতিমধ্যে কথা হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের৷ ৩ সেপ্টেম্বর তিনি ত্রিপুরা যাচ্ছেন৷ সেখানেই দীপার সঙ্গে কথা বলে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা হবে৷ বুধবার মুকুলবাবু জানিয়েছেন, “দীপারা দেশের হিরো৷ তাঁদের যোগ্য সম্মান দেওয়া উচিত৷ সেই সম্মান দীপা পাননি৷ তৃণমূল তাঁকে সেই সম্মান দেবে৷” জানা গিয়েছে, ওই কর্মসূচিতে ত্রিপুরার রাজ পরিবারের বধূ সাংসদ অভিনেত্রী মুনমুন সেন ও বাংলার ক্রীড়াজগতের অনেকেই থাকতে পারেন৷

বস্তুত, ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে ত্রিপুরায় নিজেদের সিপিএমের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল৷ গত ৯ আগস্ট আগরতলায় গিয়ে বিশাল জনসভা করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সময়েই দীপা ও তাঁর পরিবারকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মমতা৷ এবার দীপার প্রতি বাম সরকারের ‘বঞ্চনা’কে হাতিয়ার করে ত্রিপুরাবাসীর মন জয় করার কৌশল নিল তৃণমূল৷

Advertisement

রিও থেকে ফেরার পর বাম সরকার দীপাকে সে রাজ্যের স্পোর্টস কাউন্সিলের সহকারী ডিরেক্টরের পদ দেয়৷ আর তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীকে দেওয়া হয় ডেপুটি ডিরেক্টরের পদ৷ তৃণমূলের অভিযোগ, দীপা জিমনাস্টিকে চতুর্থ হয়ে যে ইতিহাস তৈরি করেছেন, তার তুলনায় নিজের রাজ্য থেকে তিনি কিছুই পেলেন না৷

অন্যদিকে, বাংলার ধাঁচেই ত্রিপুরায় আন্দোলন শুরু করেছে তৃণমূল৷ মঙ্গলবার উত্তাল হয়ে উঠেছিল আগরতলা৷ তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, বাংলার শাসক দল ত্রিপুরায় যাতে পা রাখতে না পারে, তার জন্যই সে রাজ্যে উত্তেজনা তৈরি করছে বাম সরকার৷ তৃণমূল তা হতে দেবে না৷

এদিকে খবর, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তৃণমূল জাতীয় দলের মর্যাদা পেতে চলেছে৷ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সচিব পর্যায়ের এক আধিকারিক দিন কয়েক আগেই এ সংক্রান্ত সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছেন৷ জাতীয় দলের মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু আইনের বিষয় রয়েছে৷ যে দল জাতীয় দলের মর্যাদা পাওয়ার দাবি জানায়, লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে ৬ শতাংশ ভোট অথবা, অন্তত ৪টি রাজ্যে লোকসভায় তাদের আসন থাকতে হবে৷ অন্য শর্ত হল, তিনটি রাজ্য থেকে মোট লোকসভা আসন অর্থাৎ ৫৪২ আসনের মধ্যে তার ২ শতাংশ পেতে হবে ওই দলকে৷
যে কোনও একটি শর্ত পূরণ করলেই মিলবে জাতীয় দলের মর্যাদা৷ সেক্ষেত্রে এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়া ত্রিপুরা, মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশে প্রতিনিধিত্ব রয়েছে তৃণমূলের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement