Advertisement
Advertisement

রাঢ় অঞ্চলের সংস্কৃতি ও এক টুকরো পুরুলিয়া এবার দুর্গাপুরের মণ্ডপে

মণ্ডপ সেজে উঠবে কাশীপুর রাজবাড়ির আদলে৷

This puja pandal of Durgapur will discover new Purulia
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 28, 2019 4:01 pm
  • Updated:September 28, 2019 4:01 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: লালপাহাড়ির দেশ এবার দুর্গাপুরে। পুরুলিয়ার পর্যটন কেন্দ্র, স্থাপত্য কিংবা সংস্কৃতি, সবই একসঙ্গে ধরা দিচ্ছে ডিপিএল বিজোন আদিবেদি দুর্গাপুজোয়। এবার তাদের পুজোর ৬৩তম বর্ষ। ডিপিএল বিজোন আদিবেদি দুর্গাপুজো কমিটির এবারের ভাবনা রাঢ় অঞ্চল পুরুলিয়া।

[ আরও পড়ুন: থিম লন্ডনের ‘বিগ বেন’, ২৫০ কেজি সোনায় সাজছে এই মণ্ডপের প্রতিমা ]

Advertisement

কাশীপুর রাজবাড়ির আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। প্রতিমাতেও থাকছে পুরুলিয়ার নিজস্ব সংস্কৃতির ছাপ। ছৌ-নৃত্যের পোশাক দিয়েই সাজানো হবে প্রতিমার বসন। গোটা মণ্ডপজুড়েই শুধুই লালপাহাড়ি দেশে পুরুলিয়ার সংস্কৃতি। জয়চণ্ডী, গড়পঞ্চকোট ও অযোধ্যা পাহাড়কে ফাইবারের কারুকার্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সুবর্ণরেখা নদীতে জল না থাকায় পুরুলিয়া শহরের সাহেবাঁধের জলকে যে পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাও ফাইবারের নানা কাজের মাধ্যমে চিত্রায়ণ করা হচ্ছে। মণ্ডপের বিভিন্ন জায়গায় বসছে আদিবাসীদের মডেল। ছৌ-নৃত্য, টুসু ও ভাদু গানের মডেল থাকছে মণ্ডপে। পুরুলিয়ার জঙ্গল এলাকায় বাস করা জীবজন্তু যেমন হাতি, ভাল্লুক, হরিণের ফাইবারের মডেলও থাকবে মণ্ডপের আনাচে-কানাচে। প্রায় তিরিশটি মডেল তৈরি করা হচ্ছে। অধিকাংশ মডেলই তৈরি হচ্ছে ফাইবার দিয়ে। মণ্ডপের ভিতর কাশীপুর রাজবাড়ির কারুকার্য নিখুঁতভাবে তৈরি হচ্ছে থার্মোকল ও প্লাইউড দিয়ে।

[ আরও পড়ুন: ফের রাণুর কণ্ঠে মাতল নেটদুনিয়া, মুক্তি পেল তাঁর গাওয়া পুজোর থিম সং ]

পুরো ভাবনাটি শিল্পী রাহুলদেব দাসের। তিনিই নিজের হাতে নির্মাণ করছেন এই শিল্পেক কারুকার্য। এবার পুজোর বাজেট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সম্পাদক উমাপদ দাস জানান, “উপেক্ষিত জেলা পুরুলিয়া। কিন্তু এখানকার সংস্কৃতি, স্থাপত্য ও হস্তশিল্পের কদর দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও রয়েছে। এই পিছিয়ে পড়া জেলার স্থাপত্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে আমাদের এই উদ্যোগ।”

ছবি : উদয়ন গুহরায়

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement