পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন চেতলা অগ্রণীর পুজো প্রস্তুতি৷
সুলয়া সিংহ: জীবনের সমস্ত লোভ, চাওয়া-পাওয়া, স্বাচ্ছন্দ বিসর্জন দিয়েই তো ঈশ্বরের খোঁজে ব্যাকুল হয়েছিলেন বামা খেপা। নিজেকে তাঁর পায়ে নিমজ্জিত করেই তো ঐশ্বরিক শক্তির অনুভব করেছিলেন। বিসর্জনের অর্থ তো শুধুই ত্যাগ নয়। বিশেষ রূপে অর্জন করাও। যেখানে লুকিয়ে সৃজন, সৃষ্টি। যেখানে নিজের মন্দগুলির সলিল সমাধি ঘটিয়ে নতুন এক মানুষকে আবিষ্কার করার তৃপ্তি লুকিয়ে। সেই অনাবিল আনন্দের শিখরেই আপনাকে পৌঁছে দিতে এবার প্রস্তুত হচ্ছে চেতলা অগ্রণী।
দক্ষিণের পুজোর অন্যতম সেরা গন্তব্য যে চেতলা অগ্রণী, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। প্রতিবারই দর্শনার্থীদের ঢল নামে এই মণ্ডপে। তাই শিল্পী অনির্বাণের কাছে চ্যালেঞ্জটা বেশ কঠিন। কারণ প্রথমবার এই মহাযজ্ঞের আয়োজনের দায়িত্বে তিনি। তাঁর ভাবনাতেই জীবন্ত হয়ে উঠেছে বিসর্জনের গুঢ়-ব্যাপক অর্থ।
পায়ের নিচে অতল জলের আহ্বান। আর মাথার উপর খোলা আকাশ। ধাপে ধাপে নেমে গিয়েছে সিঁড়ি। জীবনের সমস্ত মোহ-মায়া ত্যাগ করে অতল জলে অবগাহনই যেখানে মূলমন্ত্র। মণ্ডপের অন্দরমহল আপনাকে নিয়ে যাবে রাজস্থানের কোনও এক কেল্লায়। যেখানে শিসমহলে দেবী বিরাজমান। আর তাঁর সামনেই অহংকে বিসর্জন দিয়ে নতুন আমিকে খুঁজে পাওয়ার প্রস্তুতি। রানি পদ্মাবতীর কাহিনি মনে আছে? সম্প্রতি সঞ্জয় লীলা বনশালির ছবিতেও ফুটে উঠেছে চিত্তোরের ‘রাজকাহিনি’। যুদ্ধে স্বামীরা প্রাণ হারানোর পর আত্মসম্মান রক্ষার্থে অগ্নিকুণ্ডে ঝাঁপ দিয়ে জহোর ব্রত পালন করেছিলেন রানি পদ্মাবতী এবং দাসীরা। অনেকটা সেই দৃশ্যই শিল্পী ভাসিয়ে তুলবেন দর্শনার্থীদের চোখের সামনে।
শুধু ভাবনাই নয়, প্রতিমাও গড়ছেন অনির্বাণ দাস। রঙিন শিসমহলে আলোর আনা-গোনা আর আবহ সংগীতের মূর্ছনায় এক মুহূর্তের জন্য হারিয়ে যাবেন অন্য এক পৃথিবীতে। নতুন করে নিজেকে চিনতে গন্তব্য হোক চেতলা অগ্রণী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.