স্টাফ রিপোর্টার: বাগুইআটিতে তৃণমূল কর্মী সঞ্জয় দাস ওরফে বুড়ো খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে গ্রেফতার করা হল বিধাননগর পুরসভার এক মেয়র পারিষদের পুত্র বিশ্বজিত্ বিশ্বাস ওরফে বাবাইকে৷ শুক্রবার বিরাটিতে তার নিজের ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ৷ গত কয়েকমাস সেখানেই সে থাকছিল৷ জুন মাসে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল পুলিশ৷ আজ তাকে আদালতে পেশ করা হবে৷ এই নিয়ে বাগুইআটি খুনের মামলায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হল গত তিন মাসের মধ্যে৷
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জগৎপুরে খুন হন তৃণমূলের যুবনেতা সঞ্জয় রায় ওরফে বুড়ো৷ অভিযোগ, বাপি রহমান নামে এক সুপারি কিলার এই খুনটি করে৷ এই খুনের ঘটনায় সামনে চলে আসে এলাকা দখলের লড়াই৷ নিজের হারানো জমি ফেরত পেতে বাবাই ভাড়াটে খুনি দিয়ে বুড়োর উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন কিছু স্থানীয় কয়েকজন মানুষ৷ বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বাবাই এলাকাছাড়া৷ প্রায় আড়াই মাস আগে তার নামে ওয়ারেন্ট জারি করার পর এদিন ধরা পড়ে সে৷ তার বাবা বিধাননগরের মেয়র ইন কাউন্সিল বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের কাছ থেকে এই গ্রেফতারির বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ বুড়ো খুনে প্রথমে সিন্ডিকেট জগতের পান্ডা ইঁদুর গোপালের দুই শাগরেদ আকাশ দাস ও সুব্রত বসুকে ৩ মার্চ গ্রেফতার করা হয়৷ তারপর ৮ মার্চ রঞ্জু ঘোষ, প্রবীর মণ্ডল, কালিদাস অধিকারী, টুকাই এবং মনোরঞ্জন সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ এর আগেই ধরা হয়েছিল গ্যাস বাবুকে৷ খুনের ঘটনায় এরা প্রত্যেকেই অন্যতম অভিযুক্ত বলে পুলিশের দাবি৷ এর আগে সুপারি কিলার বাপি রহমানকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ তাকে জেরা করে খুনে জড়িতদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ৷ একটা সময় বাবাই মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু এবং সাংসদ দোলা সেনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল৷ বুড়ো ছিল বাবাইয়ে অনুগামী৷ দলেরই অন্য এক বিধায়কের আশীর্বাদ নিয়ে বুড়ো বাবাইয়ের সিন্ডিকেট সাম্রাজ্যের দখল নিতে চায় বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ৷ তখন থেকেই বাবাই-বুড়ো দূরত্ব বাড়ে৷ বুড়ো খুনের পর বাবাইয়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে পূর্ণেন্দু ও দোলার৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.