সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কচি সবুজ লম্বা লম্বা পাতাগুলো জোরালো কীটনাশকে বিষাক্ত হয়ে গিয়েছিল৷ খিদের জ্বালায় সেই পাতা খেয়েই মৃত্যু হল ৩০টি কৃষ্ণসার হরিণের৷ ঘটনাটি তেলেঙ্গানার একটি গ্রামের৷ তবে দিনের পর দিন যেভাবে চাষিরা খাদ্য শস্য ও রাগি শস্যকে পোকার হাত থেকে বাঁচাতে জোরালো কীটনাশক ব্যবহার করছে তাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে এই ঘটনা৷
যে ভুট্টা দিন রাত উনুনে সেঁকে রাস্তার ধারে পাতায় মুড়ে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, সেই পাতাতেই থাকছে বিষ৷ আর তা এতটাই জোরালো যে তা খেয়ে মারা যাচ্ছে পশু৷ তেলেঙ্গানার ঘটনাটি তাই রীতিমতো বিপদ বার্তা দিয়েছে৷ যার জেরে জোরদার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে৷ শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মেহবুবনগর এলাকার একটি ভুট্টাখেতে৷ তবে তা প্রকাশ্যে আসে শনিবার৷ স্থানীয়রা দেখেন খেতের মধ্যেই মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে অসংখ্য হরিণ৷ বিষয়টি বন দফতরকে জানাতে তারাই এসে প্রাথমিক তদন্ত করে৷ তাতেই জানা যায় ওই ভুট্টাখেতের পাতা খেয়েই মৃত্যু হয়েছে হরিণগুলির৷ এরপরই পরীক্ষার জন্য হরিণগুলিকে নিয়ে যাওয়া পশু চিকিৎসালয়ে৷
বন দফতরের তরফে বলা হয়েছে, কীটনাশকের কারণেই হরিণগুলির মৃত্যু হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে খাদ্যশস্যে কতটা পরিমাণ কীটনাশক চাষিরা মিশিয়েছিল, তা নিয়েও তদন্ত হবে৷ হরিণদের মারতে চাষিরা ইচ্ছা করে পাতায় বিষ মাখিয়ে রেখেছিল কি না তা-ও দেখবেন তদন্তকারীরা৷ কারণ বর্ষার সময়ে ভুট্টাখেতে ঢুকে ফসল নষ্ট করে হরিণরা৷ প্রচুর কৃষ্ণসার হরিণও বন্যার কারণে এই সময় চাষের জমিতে ঢুকে ফসলের ক্ষতি করে৷ তাই চাষিরা জেনেবুঝে বিষ লাগিয়ে রাখতে পারে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা৷ তবে এই ঘটনার সঙ্গে চোরাশিকাররিদের কোনও যোগ নেই বলেই জানিয়েছে বন দফতর৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.