Advertisement
Advertisement

রাজ্যের উদ্যোগে তাজপুরেই প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর

তাজপুরের সমুদ্র বন্দরের বিষয়ে আগেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

Tajpur is going to get the seaport
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 18, 2016 10:36 am
  • Updated:August 18, 2016 10:42 am  

স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা, হলদিয়ার পর আরও চারটি বন্দর তৈরি হচ্ছে রাজ্যে৷ তাজপুর ও শঙ্করপুরের মাঝে তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরিতে অনেকটাই এগোল রাজ্য৷ তিন বছরের মধ্যেই রাজ্য সরকারের নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি হবে রাজ্যের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর৷ পাশাপাশি কুলপিতেও একটি বন্দর গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতেই একটি বেসরকারি সংস্থা জাহাজ ভাঙা ও জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রের পাশাপাশি বন্দরও গড়ে তুলবে৷ এছাড়া ভোরসাগরে কেন্দ্র-রাজ্যের উদ্যোগে গভীর সমুদ্র বন্দর তো রয়েছেই৷ বন্দরকে ঘিরে শিল্পতালুক গড়ে উঠবে ও প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলবে বলে মনে করছেন রাজ্যের আধিকারিকরাও৷

তাজপুরের সমুদ্র বন্দরের বিষয়ে আগেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বাজেটে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র সেই ঘোষণাও করেন৷ তারপর ক্রিসিল সংস্থাকে দিয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করায় রাজ্য৷ রিপোর্ট পাওয়ার পরই বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে শিল্প বিষয়ক ক্যাবিনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে অনুমোদিত হয় তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির প্রক্রিয়া৷ রাজ্য সরকারের সচিবদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হচ্ছে৷ সেই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ১৫ দিনের মধ্যে ‘গ্রুপ অফ সেক্রেটারিজ’ রিপোর্ট দেবে মুখ্যমন্ত্রীকে৷ শিল্প ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন, আগামী তিন থেকে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে৷ প্রথম পর্যায়ে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে৷ যেহেতু ১১৬ বি জাতীয় সড়ক থেকে ওই এলাকার দূরত্ব মাত্র আট কিলোমিটার ও কাঁথি রেলস্টেশন থেকে বড়জোর ২৩ কিলোমিটার, তাই পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে খুব বেশি খরচ করতে হবে না রাজ্যকে৷

Advertisement

অমিতবাবুর কথায়, “কোনও ব্রিজ করতে হবে না৷ কাছের রেল পয়েন্ট প্রায় ১২ কিলোমিটার৷ পরিকাঠামোয় খরচ করতে হবে ১৬০ কোটি টাকার মতো৷ সবমিলিয়ে প্রায় ১৫ মিটারের মতো গভীর হবে এই সমুদ্র বন্দর৷ সমুদ্র থেকে তৈরি করতে হবে প্রায় ১৮ কিলোমিটার চ্যানেল৷” এর ফলে বড় জাহাজ আসতে পারবে৷ প্রথম দফায় ছটি বার্থ তৈরি করা হবে৷ পরের দফায় হবে ৯টি বার্থ৷ সমুদ্রের থেকে আলাদাও করা ওই জায়গা৷ পর্যটকদেরও সমস্যা হবে না৷ অমিত মিত্রর দাবি, তাজপুরের প্রত্যেকটি টার্মিনাল বহুমুখী কাজের হবে৷ ড্রাই কার্গোর সঙ্গে কন্টেনার কার্গো হিসাবেও কাজ করতে পারবে৷

অন্যদিকে, সাগরে ভোরসাগর বন্দর গড়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাজ্য গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তুলবে৷ ২৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব থাকায় ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে রাজ্যের৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement