Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাজস্থানে ধৃত পাক গুপ্তচর

ব্যবসার নাম করে রাজস্থানে ছ’মাস ধরে ঘাঁটি গেড়েছিল সে৷

Suspected Pakistani spy arrested in Jaisalmer
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 20, 2016 11:07 am
  • Updated:August 20, 2016 11:07 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন আমির খান অভিনীত ‘সরফরোশ’ ছবির মির্চি শেঠের গল্প৷ ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধের সময় মুক্তি পাওয়া এই ছবিটিতে দেখানো হয়েছে অশান্তি ও হিংসা ছড়িয়ে কীভাবে ভারতকে ক্ষতবিক্ষত করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই৷ এরকমই একজন রিয়েল লাইফের মির্চি শেঠকে রাজস্থানে পাকড়াও করলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷

এই ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে রাজস্থানের এই সীমান্ত শহরে৷ রাজস্থানের জয়সলমেরে ধরা পড়ল এক পাকিস্তানি গুপ্তচর৷ নন্দলাল মেঘওয়াল নামে ২৬ বছরের ওই পাকিস্তানি নাগরিককের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও মারাত্মক স্পর্শকাতর নথিপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যানালিসিস উইং (র) ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) কাছ থেকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফাঁদ পাতে পুলিশ৷ সেই ফাঁদে পা দেয় পাকিস্তানি চর নন্দলাল৷ জেরার মুখে সে কবুল করেছে, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর নির্দিষ্ট অ্যাসাইনমেন্ট নিয়েই সে ভারতে এসেছিল৷ তার বাড়ি সিন্ধু প্রদেশের সাংগড় জেলায়৷ সে পাকিস্তান থেকে ভারতে ৩৫ কেজি আরডিএক্স পাচার করেছে৷ তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি স্যাটেলাইট ফোন, দুটি সিম কার্ড, পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও ভারতে আসার ভিসা পাওয়া গিয়েছে৷

Advertisement

আইবি-র অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল ইউ আর সাহু জানিয়েছেন, গোয়েন্দাদের কাছে অনেক আগে থেকেই খবর ছিল যে এবার পাকিস্তান কোনও বিশ্বস্ত হিন্দু ধর্মালম্বীকে ভিসা-পাসপোর্ট দিয়ে তাদের চর হিসাবে ভারতে পাঠাতে পারে৷ নন্দলাল ভারতে আসার পর থেকেই ওর উপর নজর রাখা হচ্ছিল৷ ওর ডাক নাম নন্দু৷ জয়সলমেরে সে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল৷ কয়েকটি সেনা ছাউনিতেও যায় সে৷ পাকিস্তানে নন্দুর একটি কাপড়ের দোকান ও বেশ বড় পোশাকের শোরুম রয়েছে৷ যথেষ্ট পয়সাওয়ালা বাড়ির ছেলে সে৷ ব্যবসার নাম করে জয়সলমেরে ছ’মাস ধরে ঘাঁটি গেড়েছিল৷ সুদের কারবার ও কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে ভারত থেকে সরকারি ও সামরিক নথি পাকিস্তানে পাচারের চেষ্টা করছিল৷ তার মোবাইল থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক নাম পাওয়া গিয়েছে৷  সেগুলি পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন সরকারি অফিসারের নাম ও নম্বর বলে মনে করা হচেছ৷ পাকিস্তানে থাকা তার হ্যান্ডলারদেরও নাম বলেছে সে৷ ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গার ম্যাপ, অনেক মানুষের ফোন নম্বরও পাওয়া গিয়েছে তার কাছ থেকে৷ গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে রাজস্থান পুলিশের সিআইডি-র পুলিশ সুপার রাজীব দত্ত জানিয়েছেন, যেখানে ফাঁদ পেতে নন্দুকে ধরা হয় সেখানে নন্দুর আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা তারই সাত-আটজন অনুগামী পালিয়ে গা ঢাকা দেয়৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement