সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাহাঙ্গিরপুরীতে (Jahangirpuri) অশান্তির পর এলাকায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে তৎপর হয়েছিল দিল্লি পুরনিগম। অভিযোগ ছিল, আগাম নোটিস ছাড়াই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে দেয় পুরনিগম। এবার ওই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ বন্ধের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
দিল্লি পুরনিগমের উচ্ছেদ অভিযানের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল মুসলিম সংগঠন জামিয়াত-উলামা-ই-হিন্দ (Jamiat Ulema-e-Hind)। তারা জানায়, নির্মাণ ভাঙার আগে নিয়ম মতো নোটিস দেওয়া হয়নি। সেই আবেদনে সাড়া দিল শীর্ষ আদালত। সিনিয়র অ্যাডভোকেট দুষ্মন্ত দাভে, কপিল সিবাল, পাভ সুরেন্দ্রনাথ এবং প্রশান্ত ভূষণ আজ সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি উত্থাপন করলে আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেয় আদালত। আগামিকাল ফের মামলার শুনানি হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (NV Ramana)।
সূত্রের খবর, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনার পর বিজেপি রাজ্য সভাপতি পুরসভাকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানান, সরকারি জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ গড়ে তুলেছিল অভিযুক্তরা। এরপর আজ সকালে উচ্ছেদ অভিযানে নামে দিল্লি পুরনিগম। তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেই উত্তর দিল্লি পুরনিগমের মেয়র রাজা ইকবাল সিং বলেন, “আমরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করব। ইতিমধ্যে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ বন্ধ করা হয়েছে।”
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সুপ্রিম নির্দেশের পরেও বেশ কিছুক্ষণ পুরনিগম অভিযান চালায়। কিছু পরে সেখানে পৌঁছান বাম নেত্রী বৃন্দা কারাত। ততক্ষণে অবশ্য উচ্ছেদ বন্ধ হয়েছে। বৃন্দা জানান, “পুরনিগম নির্মাণ ভাঙার কাজ বন্ধ করেছে। আমি জাহাঙ্গিরপুরীর মানুষের কাছে অনুরোধ করেছি, তাঁরা যেন এলাকায় শান্তি বজায় রাখেন এবং সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দশের জন্য অপেক্ষা করেন।”
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। মূল অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই পাঁচ অভিযুক্তের নাম আনসার, সালিম, ইমাম শেখ, দিলসাদ ও আহির। হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এখনও পর্যন্ত মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.