সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাগ্যিস তীব্র কম্পনে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল৷ প্রাণটা তাই বেঁচে গেল৷ ঘর থেকে বেরনোর পরেই চোখের সামনে ছাদটা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল৷ কয়েক সেকেন্ড দেরি করলেই সব শেষ হয়ে যেত৷
১১ মাসের ছেলেকে কোলে নিয়ে ধ্বংসস্তূপের উপর বসে বিড়বিড় করছিলেন অ্যালিসা ব্রাউন৷ চোখে মুখে স্পষ্ট আতঙ্ক৷ বুধবার গভীর রাতে ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে মধ্য ইতালির অ্যামাট্রিস৷ গুঁড়িয়ে গিয়েছে প্রায় অর্ধেক শহর৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২৷ অন্তত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে৷ গুরুতর জখম বহু৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ভূমিকম্পের জেরে প্রবল ভূমিধসের কারণেই পরিস্থিতি ভয়ানক হয়েছে৷ স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, বাড়ির ভগ্নস্তূপের তলায় বহু মানুষ এখনও চাপা পড়ে রয়েছেন৷
উদ্ধারকাজ শুরু হলেও কতজনকে জীবিত অবস্থায় বের করে আনা যাবে তা স্পষ্ট নয়৷ অ্যামাট্রিস থেকে ১০০ মিটার দূরে রোম শহর৷ সেখানে ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন অল্প অনুভূত হয়েছে৷ তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি৷ সুরক্ষিত রয়েছে ভ্যাটিকান সিটিও৷
বুধবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রবল কম্পনে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ইতালির এই ছোট শহর৷ গভীর ঘুমে মগ্ন ছিল গোটা জনপদ৷ ভূমিকম্পের উৎসস্থল থেকে চার মাইল দূরে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের চারজনের৷ এক ঘণ্টা পর ফের কম্পন হয়৷ তখন রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.৫৷
অ্যামাট্রিসের মেয়র স্টিফানো পেট্রুসির বক্তব্য, ভূমিকম্পের জেরে একটি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে৷ বহুতল, বাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে অর্ধেক শহর বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ প্রান্তিক এলাকার সঙ্গে শহরের যোগাযোগ বিচিছন্ন হওয়ায় পরিস্থিতি বেশ জটিল৷ অ্যামাট্রিস ছাড়াও আকুমোলি, পোস্টা, আরকোয়াটা ডেল ট্রন্টোর মতো কয়েকটি শহরেও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে৷ ভোরের আলো ফোটা না পর্যন্ত উদ্ধারকাজ শুরু করা যায়নি৷ ২০০৯ সালে ইতালিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন তিনশোরও বেশি মানুষ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.