সৌরভ মাজি, বর্ধমান: নেই পাকা রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক মহলে আবেদন নিবেদন জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাই ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের বসতপুরের বাসিন্দারা। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে জোরদার প্রচার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের বোঝান হবে যাতে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রের উদাসীনতায় হয়নি ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান’, নাম না করে ভারতীকে খোঁচা দেবের]
পূর্ব বর্ধমানের মেমারি-২ ব্লকের বিজুর-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বসতপুর থেকে বারকোণা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। জানা গিয়েছে, আশপাশের প্রায় ৫টি গ্রামের বাসিন্দা এই রাস্তার উপরই নির্ভরশীল। অন্য গ্রামের ক্ষেত্রে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা থাকলেও বারকোণা গ্রামের বাসিন্দাদের ট্রেন-বাস ধরার জন্য এই চার কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহার করতেই হয়। অভিযোগ, দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও রাস্তাটি পাকা হয়নি, যার জেরে বরাবরই সমস্যায় পড়তে হয় গ্রামবাসীদের। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই এলাকার বাসিন্দারা কয়েক বছর ধরেই প্রশাসনিক মহলে আবেদন জানিয়েছেন রাস্তা তৈরির বিষয়ে। এমনকি স্থানীয় বিধায়ক সৈকত পাঁজার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী কাছেও রাস্তার জন্য আবেদন করেছিলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, তার পরে বছর ঘুরে গেলেও কোনও সুরাহা মেলেনি।
সেইকারণেই লোকসভা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যেই ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে পোস্টার পড়েছে গ্রামে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে প্রচার। স্থানীয় বাসিন্দা তুষারকান্তি মণ্ডল তাঁর ফেসবুকে সোচ্চার হয়েছেন ভোট বয়কটের দাবি নিয়ে। তিনি লিখেছেন, “মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে না ভুলে চলো ভোট বয়কট করি।” একইসঙ্গে বিগত দিনে রাস্তার জন্য তাদের তরফে প্রশাসনের কাছে করা আবেদনের নথিও প্রকাশ করেন। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, “ভোট বয়কট করলেই সমস্যার সমাধান মিলবে না। বরং উলটোও হতে পারে। গ্রামবাসীদের বোঝানো হবে, ভোট বয়কট না করার জন্য।” জেলা পরিষেদর সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু জানিয়েছেন, ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। এখন কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই গ্রামবাসীদের ভোট বয়কটের ডাক কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.