সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বকরি ইদে সম্প্রীতির নজির গড়লেন উত্তরাখণ্ডের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। যোশীমঠে শিখদের গুরুদ্বারে ইদের নমাজ পড়লেন মুসলিমরা।
[ইদ উপলক্ষে সীমান্তে মিষ্টি বিনিময় ভারত-পাক সেনার]
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরাখণ্ডে। শনিবার ছিল বকরি ইদ। সকালে যোশীমঠে স্থানীয় ইদগাহে নমাজ পড়ার জন্য জড়ো হয়েছিলেন মুসলিমরা। কিন্তু, তাঁরা দেখেন, প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত ডুবে গিয়েছে স্থানীয় ইদগাহটি। সেখানে কোনওভাবেই নমাজ পড়া সম্ভব নয়। ইদের দিনে কোথায় নমাজ পড়া হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েন মুসলিমরা। সমস্যার কথা জানতে পেরে তাঁদের পাশে দাঁড়ান এলাকার শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজন। যোশীমঠের গুরুদ্বারে ইদের নমাজ পড়ার প্রস্তাব দেন তাঁরা। বকরি ইদের দিনে শিখদের গুরুদ্বারেই নমাজ পড়েন মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রায় হাজার খানেক মানুষ। এই অভিনব উদ্যোগের কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান মহকুমাশাসক যোগেন্দ্র সিং-সহ স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁরাই গুরুদ্বারে নমাজ পড়ার ব্যবস্থা করে দেন। যোশীমঠ গুরুদ্বার কমিটির ম্যানেজার বুটা সিং বলেন, ‘এলাকায় কোনও মসজিদ নেই। ইদের দিনে গান্ধী ময়দানে খোলা মাঠেই নমাজ পড়েন মুসলিমরা। কিন্তু, বৃষ্টিতে মাঠটি ডুবে গিয়েছে। সেখানে এত লোকের নমাজ পড়া সম্ভব ছিল না। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা মুসলিম ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’ ইদের দিন শিখেরা যেভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে আপ্লুত মুসলিমরাও। পেশায় সবজি বিক্রেতা মহম্মদ আসলাম বলেন, ‘ এই ঘটনা আমাদের হৃদয় ছুঁড়ে গিয়েছে। সৌভ্রাতৃত্ববোধের অনন্য নজির গড়লেন গুরুদ্বার কমিটির সদস্যরা। আমরা অত্যন্ত খুশি। সবারই এমন কাজ করা উচিত।
[ইদে গরুর কুরবানি দেওয়ায় তাণ্ডব, গ্রেপ্তার ৬]
প্রসঙ্গত, কাজের প্রয়োজনে প্রতিদিন বিজনোর, সাহারণপুর, নাজিবাবাজ, মোরদাবাদ থেকে যোশীমঠে আসেন মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। অনেকে আবার উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় পাকাপাকিভাবে বসবাসও করেন। এখনকার মুসলিমরা পেশায় মূলত ছোট ব্যবসায়ী ও সবজি বিক্রেতা।
[জানেন, গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের বিপুল জনপ্রিয়তার রহস্যটা কী?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.