সময়ের হেরফের হয়। তবে টলিউডে ঋতু বৈচিত্র অমলিন। ‘প্রাক্তন’-এর সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনিই পারেন পর্দায় নতুন প্রেমের নতুন সংজ্ঞা দিতে। আবার ব্যতিক্রমের ‘ধারাস্নান’ তাঁর পক্ষেই সম্ভব। সপ্তাহান্তেই মুক্তি তাঁর নতুন ছবি। তাঁর আগে নির্মল ধরের সঙ্গে আড্ডায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
খুব স্ট্রং একটা মহিলা চরিত্র তমসা। আমরা যদি সোসাইটি নিয়ে, সামাজিক অবস্থা নিয়ে ছবি করি, সেখানে একটা স্ট্রং চরিত্রকে অভিনয় দিয়ে রেকগনিশন দিতে পারি- সেটাও তো একটা বড় কাজ। তমসার মধ্যে অনেকগুলো অডস অ্যান্ড ইভেন্টস আছে সেটা অ্যাট্রাক্ট করেছে আমায়। শি ইজ নট অ্যান্ড ইভন ক্যারেকটার। শুধু সে প্রতিবাদীই নয়, একটা সময় শি স্টার্ডেড টু বি ম্যানিপুলেটিভ। কারণ ওর পারিপার্শ্বিক অবস্থায় একসময় ও বুঝল ওর ভালত্ব, ওর সহমর্মিতা, ওর স্যাক্রিফাইসগুলো রেকগনাইজড হল না তখন শি স্টার্ডেড টু বি ম্যানিপুলেটিভ। নিজেকে ব্যবহার করে ধীরে ধীরে একটা জায়গায় নিয়ে যায়।
[উজবেকিস্তানে ‘হইচই’ বাঁধাতে তৈরি দেব-মিমি]
আমি সেটাই তো বলছি। প্রথম পর্বে তমসা ডোসাইল ছিল, সিম্পল, তাঁর জীবনে একজন আসে। সেখানে সে বিট্রেড হয়, তারপরে সে ভাবে ঠিক আছে নতুন জীবনে অন্যভাবে অ্যাডজাস্ট করে নেবে। ভেবেছিল বিয়ের পর হয়তো সেখানে একটু সুখের সন্ধান পাবে, সেখানেও ভীষণভাবে বিট্রেয়াল ঘটে। এরপরেই তমসার আসল লড়াইটা শুরু হয়। এবার যে নিজেকে বদলাতে শুরু করে। আস্তে আস্তে ওই যে বললাম দারুণ ক্যালকুলেটিভ ম্যানিপুলেটিভ হয়ে যায়। ও নিজের জীবনটাকেই বদলে ফেলে। নিজের জীবনের পরিবর্তে ও বাটারটাও চায়। জীবনের অঙ্কটাও বদলে যায়। নিজেকে এক্সপ্লয়েটেড হতে দিয়েও পরিবর্তে নিজের পাওনাটা বুঝে নিতে চায় তমসা। দেয়া-নেয়াটা হিসেব করে বুঝে নিতে শুরু করে। আর ওভাবেই ফ্যামিলিটাকে সাপোর্ট করতে শুরু করে। স্বামীর শারীরিক অবস্থা এমন একটা জায়গায় পৌঁছয় যে স্ত্রীর কমিটমেন্ট হিসেবে সে সরে থাকতে পারে না, অন্য কোনও মেয়ে হলে হয়তো এড়িয়ে যেত। তমসা যায় না। একসময় সে রিয়েলাইজ করে এই জীবনের কোনও দিকটাই বোধহয় ঠিক না। স্বামীর এই অসুস্থতা এবং দীর্ঘ অপেক্ষা কোথায় যেন ওকে নাড়া দেয়। শেষটা আর বলছি না।
হরনাথদা এই ক’বছরে নিজেকে অনেকটা ইভলভ করেছে। এমনিতেই তিনি ছিলেন একজন সেন্সিটিভ মানুষ এবং ডিরেক্টর। হরদার সঙ্গে অন্যরকম ছবি ‘আশ্রয়’ আর ‘দায়দায়িত্ব’ও করেছি। আবার ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ -এর মতো ল্যান্ডমার্ক কমার্শিয়াল ছবিও করেছি।
‘ধারাস্নান’-এ দেখলাম হরদা একবারে অন্য প্যাটার্নে একটা গল্প বলতে চাইছেন। হরদার কমার্শিয়াল ছবির মধ্যেও এক ধরনের সেন্সিটিভিটি ছিল। রবি কিনাগীর মতো কাট-টু-কাট কমার্শিয়াল মেকার নন হরদা। ওঁর ছবির মধ্যে ইমোশনাল কিছু বেন্ডস থাকেই। ‘ধারাস্নান’ গল্পের মধ্যেই কিন্তু দারুণ কিছু কমার্শিয়াল কম্পোনেন্টস আছে, সেটা হরদা নিশ্চয়ই ব্যবহার করছে। ইন্টারেস্টিং গানের ব্যবহার আছে। পিকচারাইজেশনও ইন্টারেস্টিংলি করেছেন। কাস্টিংও দারুণ। কাঞ্চনের তো জবাব নেই!
[নগ্নতা পেরিয়ে আত্মার সন্ধান, ‘ন্যুড’ ট্রেলারে সংগ্রামের নিশান]
কে বলেছে! কেন করব না। করছি তো! তবে একটা কথা পুরনো ফর্মুলার কমার্শিয়াল ছবি এখন আর চলছে না। হচ্ছেও না। দর্শক পালটাচ্ছে। ‘দৃষ্টিকোণ’ও তো দারুণ কমার্শিয়াল হবে। শমীক মুখোপাধ্যায় ‘রক্তবীজ’ কমার্শিয়ালই হবে আশা করি। রঞ্জনের(ঘোষ) পরের ছবি যেটা করছি, সেটাও কমার্শিয়াল। এই তো জিৎ-এর ‘নটিকে’ চলল কি? আবার তরুণ মজুমদারের ‘ভালবাসার বাড়ি’ পঞ্চাশ দিন ছুঁতে চলেছে। বাণিজ্যের সংজ্ঞাও পালটাচ্ছে। বদলাচ্ছে দর্শক। এবং সেদিক থেকে ‘ধারাস্নান’ও দারুণ কমার্শিয়াল হতেই পারে। এটা শুভ লক্ষণ!
[অবসাদ নিয়ে কটাক্ষ, সলমনকে কড়া জবাব দীপিকার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.