স্টাফ রিপোর্টার: পোস্তার বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভেঙে পড়া অংশ বাদে বাকি অংশও ভেঙে ফেলতে হবে বলে রাজ্যের হাই পাওয়ার্ড কমিটিকে রিপোর্ট দিল রাইটস৷ খড়গপুর আইআইটি-র রিপোর্টেও নকশা ও নির্মাণ কাজে ত্রুটির বিষয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে৷ নবান্ন সূত্রে খবর, সেই রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নকশায় ত্রুটি ছিল৷ নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছিল৷ পাশাপাশি নির্মাণসামগ্রীর গুণগত মানও যাচাই করা হয়নি৷ এ ব্যাপারে যাচাই করার কোনও রিপোর্টও ছিল না৷ উড়ালপুলের স্ল্যাবগুলি ঠিকভাবে জোড়া হয়নি বলেই আইআইটি-র রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে৷ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “হাই পাওয়ার্ড কমিটি যদি মনে করে নির্মাণের সময় গাফিলতি ছিল, সেটাই ঠিক৷”
এদিকে, ব্র্যাবোর্ন রোড ফ্লাইওভার ও মা ফ্লাইওভারের কাজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর৷ মা উড়ালপুলের জন্য দুই ইঞ্জিনিয়ারের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে৷ রাজ্যে সবমিলিয়ে রাজ্য ও জাতীয় সড়কের উপর ২৩১টি সেতু রয়েছে৷ তার মধ্যে ৬৬টি পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে সমীক্ষায় ধরা পড়েছে৷ পোস্তা উড়ালপুলের দুর্ঘটনায় নোডাল এজেন্সি কেএমডিএ-র কাজের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে৷
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে বিবেকানন্দ উড়ালপুল তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল৷ তৎকালীন বাম সরকার প্রায় দেড়শো কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দও করেছিল৷ দায়িত্ব দেওয়া হয় বেঙ্গালুরুর আইভিআরসিএল-কে৷ পরের বছর সেপ্টেম্বর মাসে উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শুরু হয়৷ তবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ বিধানসভা ভোটের মুখেই ভেঙে পড়ে উড়ালপুলের একাংশ৷ ২৭ জনের মৃত্যু হয়৷ দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করে রাজ্য সরকার৷ দুর্ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কেএমডিএ-র পদস্থ দুই ইঞ্জিনিয়ারকে বহিষ্কার করা হয়৷ গ্রেফতারও করা হয় তাঁদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.