সুব্রত বিশ্বাস: খাদ্যে ভেজাল রুখতে দেশ জুড়ে তো বটেই, এ রাজ্যেও সম্প্রতি বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে৷ এবার তাই যাত্রীদের নির্ভেজাল খাদ্য পরিবেশনে বিশেষ ব্যবস্থা নিল রেল৷
এবার থেকে ভেজালমুক্ত খাবার মিলবে ট্রেনে৷ গরম জলে ফেললেই তৈরি হবে রাসায়নিক পদার্থহীন বিরিয়ানি থেকে উপমা৷ সেনা জওয়ানদের যেমনটা দেওয়া হয় ঠিক তেমনই৷ সিয়াচেনের মাইনাস চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কারগিল, উত্তর-পূর্ব ভারত কিংবা আন্দামানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওই খাবার খান সেনাকর্মীরা৷ এবার তা ট্রেনে বসেই খেতে পারবেন যাত্রীরা৷ প্যাকেট কেটে গরম জলে ফেলার অপেক্ষা শুধু৷ সঙ্গে সঙ্গে তৈরি চিকেন বিরিয়ানি, ভেজ বিরিয়ানি, রাজমা রাইস, রাজমা মশলা জিরা রাইস, হুইট উপমা, ডাল রাইস, সম্বর রাইস, লেমন রাইস, টমরিন্ড রাইস৷ ট্রেনগুলিতে এখন তৈরি করা খাবারের পাশাপাশি একেবারে ‘রেডি টু ইট’ গোত্রের এই খাবার দেবে আইআরসিটিসি৷ সংস্থার পূর্বাঞ্চলের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র জানান, পরীক্ষামূলকভাবে এই ধরনের খাবার প্রথম পর্যায়ে শুরু হচ্ছে তাম্রলিপ্ত, কান্ডারি উপাসনা, কুম্ভ, সাঁতরাগাছি-চেন্নাই এক্সপ্রেসে৷ পরীক্ষামূলকভাবে চলার সময় জনপ্রিয় হলে তা স্থায়ীভাবে রাখা হবে যাত্রীদের জন্য৷ ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হলে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে খাবার পরিবেশনে অসুবিধা দেখা দেয়৷ ফলে বহু দিন ধরে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজছিল আইআরসিটিসি৷ এরপর মাইসোরের এফএসএসএআই অনুমোদিত সেনাবাহিনীর খাদ্য প্রস্তুতকারী ফুড রিসার্চ ল্যাবের টেকনোলজিতে তৈরি হয় ‘রেডি টু ইট’ নামের এই খাদ্য প্রণালী৷ এই খাবার রীতিমতো বাক্সবন্দি হয়ে উঠবে ট্রেনে৷ প্রতিটি খাবার প্যাকেটের মূল্য চল্লিশ টাকা৷ শুধু গরম জল নিতে হবে প্যাণ্ট্রি কার থেকে৷ জলে খাবার ফেললেই তৈরি বিরিয়ানি থেকে হুইট উপমা৷
আইআরসিটিসি জানিয়েছে, দামের সঙ্গে খাবারের মানও ঠিক রাখার জন্য যাবতীয় বন্দোবস্ত করেছে সংস্থাটি৷ কোনওএরকম কৃত্রিম রং নেই খাবারে৷ নেই কোনও রাসায়নিক পদার্থ৷ ফলে শরীর খারাপের প্রশ্নই নেই৷ দেবাশিসবাবুর কথায়, এই খাবারে সুবিধা রয়েছে, তা চাইলেই যখন তখন মিলবে৷ তিন মাস পর্যন্ত রাখাও যাবে খাবার৷ ফলে কিছুটা খেয়ে আবার পরে খাওয়াও সম্ভব৷ তৈরি খাবারের মতো সময়ের অপেক্ষা করতে হবে না৷ এ ধরনের খাবার যে বিশেষ জনপ্রিয় হবে এমনটাই আশা রেল দফতরের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.