সুব্রত বিশ্বাস: আর কিছুদিনের অপেক্ষা৷ তারপরই সূর্যের আলোতে চলবে রেল গাড়ি৷ উত্তর পশ্চিম রেলের যোধপুর ওয়ার্কশপে তৈরি হল দেশের প্রথম সোলার প্যানেল ট্রেন৷ প্রাথমিক পর্যায়ে এই ট্রেনের ট্রায়াল হয়ে গেল৷ দু’মাসের অপেক্ষা শেষ হলেই যোধপুর-হিসারের মধ্যে চলবে এই সোলার ট্রেন৷
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্কশপে সোলার চালিত আট কোচের এই ট্রেন তৈরি শেষ হয় ২০১৬ সালের ৭ মে৷ ট্রেনটিকে এরপর রেড়টা রোড ডিএমইউ শেডে পাঠানো হয়৷ সেখান থেকে জয়পুর পর্যন্ত ট্রেনটি চালানোও হয়৷ এরপর সেটিকে পাঠানো হয় যোধপুরের বিকানেরে৷ সেখান থেকে যোধপুর-বাড়মের-যোধপুর আর যোধপুরের হিসারে পাঠানো হয়৷ বিকানের থেকে চুরু ও চুরু থেকে মেঢ়তার মাঝে ট্রায়াল হবে৷ কেন বারবার এই ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ট্রেনটিকে পাঠানো হচ্ছে? উত্তর পশ্চিম রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বি এল পাটিল জানান, বহু যাত্রীবাহী ট্রেনের ছাদে ওঠেন যাত্রীরা৷ এই অবস্থায় সোলার প্যানেল খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকেই৷ তাই এমন শাখার সন্ধান চালানো হয় যে শাখার যাত্রীরা ট্রেনের ছাদে চড়েন না৷ ফলে শুধু শাখার সন্ধান চালাতেই দীর্ঘ সময় লাগে৷
ডিএমইউ ট্রেনে ইঞ্জিন খারাপ হলে এখন ডিজেল চালিত ইঞ্জিন জুড়ে দেওয়া হয়৷ কিন্তু এতে কোচে আলো জ্বলে না, পাখাও চলে না৷ সোলার প্যানেল যুক্ত কোচে ডিএমইউ-র ইঞ্জিন খারাপ হলেও আলো ও পাখা সক্রিয় থাকবে৷ রেল বোর্ড পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে যোধপুর ওয়ার্কশপকে নির্মাণের দায়িত্ব দিয়ে ১.৯৫ কোটি টাকা দিয়েছে৷ এমন সোলার পরিচালিত আরও ৫০টি কোচ তৈরি হবে৷ জয়পুর ওয়ার্কশপে এমন ২২টি ট্রেন তৈরি হবে৷
কোচ পিছু প্রতি বছর ১.২৪ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হবে বলে রেল বোর্ড জানিয়েছে৷ রেল আধিকারিকদের মতে, সোলার প্যানেলে একদিনে প্রায় ১৭ ইউনিট বিদ্যুৎ জেনারেট করে৷ এতে কোচের আলো, পাখা জ্বালানো যাবে৷ একটি ট্রেনে প্রতি বছর ৯০ হাজার লিটার ডিজেল লাগে৷ ২০টি কোচে এক বছরে এর জন্য সাশ্রয় হবে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা৷ এই মুহূর্তে দেশে তৈরি হচ্ছে ৩০টি সোলার ট্রেন৷ যোধপুর, জয়পুর, পাঞ্জাবের অমৃতসরে তৈরি হচ্ছে এই ট্রেন৷ যদিও সোলার প্যানেল ট্রেন এখনই কলকাতা বা তার আশপাশের শহরতলিতে চলবে না৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.