সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা দেশ যখন গো-রক্ষকদের হাতে দলিত নিগ্রহের ঘটনায় উত্তাল, তখনই মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ তীব্র কটাক্ষ করে স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের অপরাধীর তকমা দিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু তারপর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেই তাঁর মন্তব্য ও কাজের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলল পাঞ্জাবের এক গো-রক্ষক দল৷
উনায় দলিত নিগ্রহে প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ জড়িয়েছে শাসকদলের নাম৷ বিজেপির হিন্দুত্ববাদী নীতির জন্যই যে দেশ জুড়ে গো-রক্ষকদের বাড়বাড়ন্ত, উঠেছে এমন অভিযোগও৷ এমনকী এই ইস্যুতে সংসদেও বিরোধীরা বারবার সরব হয়েছে৷ প্রশ্ন তুলেছে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছেন স্বয়ং মোদি৷ স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের একহাত নিয়ে তিনি তাঁদের অপরাধী হিসেবেই ব্যাখ্যা করেন৷ এমনকী দলিতদের নয়, মারতে হলে গো-রক্ষকরা যেন তাঁকেই মারেন, এমন কথাও শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে৷ তাঁর এই কঠোর বার্তার পরই পাঞ্জাবের এক গো-রক্ষক দলের বিরুদ্ধে তোলাবাজি-সহ অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়৷ আর এরপরই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেই ক্ষমা চাইতে বলেন গো-রক্ষক দলের প্রধান৷
সতীশ কুমার নামে ওই ব্যক্তি আরও ২১ জনকে নিয়ে একটি গো-রক্ষক দল খুলেছিলেন৷ একাধিক মুসলিম ব্যক্তির থেকে গো-রক্ষার নামে টাকা তোলার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার পরই সতীশের হুঁশিয়ারি, “প্রধানমন্ত্রী আমাদের দুষ্কৃতী বলে বড় ভুল করছেন৷ তিনি গো-হত্যায় উৎসাহ দিচ্ছেন৷ এতে ভগবান কৃষ্ণের অভিশাপের মুখে পড়বেন তিনি৷” শুধু তোলাবাজি নয়, এই দলের কাছে ৩২টি পিস্তল ছিল বলেও জানা যাচ্ছে৷ গো-রক্ষার নামে রীতিমতো সন্ত্রাস চালাত এই দল৷ এফআইআর দায়ের হওযার পরও অবশ্য তাদের দাবি, তারা গো-রক্ষার কাজ চালিয়ে যাবে৷ এমনকী গ্রেফতারির আশঙ্কাতেও কাজ কমবে না বলে হুমকি এই দলের প্রধান সতীশ কুমারের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.