সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন মাসের মধ্যে দোষীদের শাস্তি না হলে সপরিবারের আত্মহত্যা করার হুমকি দিল বুলন্দশহর গণধর্ষণ-কাণ্ডের নির্যাতিত পরিবার৷ শুক্রবার রাতে দিল্লি-কানপুর জাতীয় সড়ক ধরে এক শোকসভায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা৷ রাত দেড়টা নাগাদ ৭-৮ জনের দল তাঁদের হামলা করে বলে জানান নির্যাতিতার স্বামী৷
তিনি এও জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা তাঁদের বন্দুক দেখিয়ে হাত পা বেঁধে দেয়৷ তারপর নির্বিচারে মারধর করতে থাকে৷ তাঁর স্ত্রী, মেয়ে ও ভাইয়ের স্ত্রীকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়৷ কিশোরী মেয়েটি ক্যারাটেও জানত বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা৷ কিন্তু, বন্দুকের সামনে তা কিছু করার ছিল না৷ তবুও আধ ঘণ্টা ধরে নাকি বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা৷ তিন ঘণ্টা পর তাঁরা বুঝতে পারেন, দুষ্কৃতীরা চলে গিয়েছে৷
অভিযোগ, এরপর ১৫ মিনিট ধরে আপদকালীন নম্বর ১০০ ডায়াল করেও কোনও লাভ হয়নি৷ বারবার ব্যস্ত হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল৷ শেষে এক বন্ধুর মাধ্যমে পুলিশকে খবর দিতে সক্ষম হন তাঁরা৷ ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ মা ও মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে তিন জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তবে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত অভিযুক্তকে ধরার যে ডেডলাইন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব দিয়েছিলেন, সোমবারই তা শেষ হয়ে গিয়েছে৷
এখনও সেই রাতের বিভীষিকা তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁদের৷ ঘটনার তিন দিন পর সাংবাদিকদের সামনে এসে জানিয়েছেন নির্যাতিতা মা ও মেয়ের অভিভাবক৷ শুক্রবারের গণধর্ষণের ঘটনার পর এই প্রথম সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে এই কথা জানালেন নির্যাতিত মা ও মেয়ের অভিভাবক৷ তাঁর কথায়, গত ১৮ বছর ধরে যেখানে তাঁরা থাকছিলেন৷ সেখানে আর যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই৷ কারণ সবাই জেনে গিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কী হয়েছে৷ এক বন্ধুর বাড়িতে এতদিন ছিলেন৷ কিন্তু, এখন তিনিও তাঁদের বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছেন৷ কোথায় যাবেন? উত্তর জানেন না৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.