পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির Sangbadpratidin.in৷ আজ প্রথম প্রতিবেদনে পড়ুন উত্তর কলকাতার উল্টোডাঙা পল্লিশ্রীর পুজোর প্রস্তুতি৷
সুলয়া সিংহ: গত দু’বছর সুশান্ত পালের মতো নামী থিম শিল্পীর দৌলতে উল্টোডাঙা পল্লিশ্রীর পুজো এখন কলকাতার দুর্গাপুজোর মানচিত্রে পাকাপাকি ঠাঁই করে নিয়েছে৷ এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই৷ এ বছর সুশান্ত পাল না থাকলেও ‘উৎসবের আনন্দ’ ফিকে হয়নি মোটেই৷ এপাড়ায় নতুন থিম করতে এসে শিল্পী মানস রায় তাই রঙের আতিশয্য থেকে দূরে সরেননি৷
ভিনদেশি লোকশিল্পকে বাংলার আঙ্গিকে নিয়ে এসে মানস সাজাচ্ছেন উল্টোডাঙা পল্লিশ্রীর মণ্ডপ৷ ‘রং আর আলোয় সাজবে পাড়া, উল্টোডাঙা পল্লিশ্রীতে খুশির ধারা৷’ এটিই হল এবারের থিম৷ নাম শুনেই ধারণা করা যাচ্ছে যে শুধু মণ্ডপই নয়, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে গোটা পাড়াই রঙিন হয়ে উঠবে৷ শিল্পীর অন্দরমহলে কাজ চলছে পুরোদমে৷ সেখানেই ঢুঁ মেরে দেখা মিলল এক রঙিন জগতের৷ পেঁচা, হাতি, মুরগী, বিড়াল, শিয়াল, কী নেই সেখানে! আর সবচেয়ে মজার বিষয় হল, চেনা পরিচিত বন্য খোলস থেকে বের হয়ে তারা সবাই নানা রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে৷ ফাইবারের তৈরি এই জীবজন্তুরা উল্টোডাঙা পল্লিশ্রীর পুজোমণ্ডপের সামনে দর্শনার্থীদের অপেক্ষায় থাকবে৷ আর পাড়ায় প্রবেশ করতেই এক বিরাট জিরাফ আগতদের স্বাগত জানাবে৷ তারপর বিশাল আয়তনের একটি ফাইবারের পেঁচা ও বাজ পাখির নিচ দিয়ে ঢুকতে হবে প্রতিমা দর্শন করতে৷
এবার আসা যাক মণ্ডপের ভিতরের সাজসজ্জার কথায়৷ নানা ধরনের মোমদানিতে রঙিন হবে মণ্ডপের ভিতরের অংশ৷ শিল্পী মানস রায় বললেন, “ফাইবারের ১০০টি মাল্টি ও ২০০টি সিঙ্গল ক্যান্ডেল স্ট্যান্ড সজ্জিত থাকবে৷ সময় খুব কম৷ তাই দিন-রাত এক করে কাজ করতে হচ্ছে৷” স্বপন পালের প্রতিমা ও মল্লার ঘোষের মিউজিকে আরও জীবন্ত হয়ে উঠবে এবারের থিম৷ এমনটাই আশা শিল্পী তথা উদ্যোক্তাদের৷
৬৮ বছরে পা দিচ্ছে এবারের পুজো৷ গত দু’বছর পরপর পাওয়া ‘সংবাদ প্রতিদিন পুজো পারফেক্ট’-এর সেরার স্বীকৃতির শিকে এবারও ছেঁড়ে কি না, এখন তারই অপেক্ষা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.