পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন প্রফুল্ল কানন অধিবাসী বৃন্দের পুজোর প্রস্তুতি৷
সুলয়া সিংহ: গতবছর পুজোর শহরের সব অভিমুখ ছিল কেষ্টপুর প্রফুল্ল কাননের দিকে৷ সৌজন্যে শিল্পী পূর্ণেন্দু দে৷ টেরাকোটা শিল্পকে বাংলার গ্রামের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছিলেন৷ তাঁর হাত ধরেই পুরস্কারের বন্যা বয়ে গিয়েছিল৷ এবারও তাই সেই অভিজ্ঞ শিল্পীর উপরই ভরসা রেখেছে এই পুজো কমিটি৷ আর তাঁদের ভরসার মান রাখতে নতুন ভাবনায় সাজাচ্ছেন মণ্ডপকে৷ যে ভাবনায় বেশ প্রফুল্ল পুজো উদ্যোক্তারা৷ কেন? কারণ এবার প্রফুল্ল কাননের থিমও প্রফুল্ল কাননই৷
আরও একটু খোলসে করে বলা যাক৷ শিল্পী পূর্ণেন্দু দে এবার মণ্ডপজুড়ে আস্ত একটি বাগান তৈরি করছেন৷ গাছে ফুল, পুকুরে ইতি-উতি ঘুরছে হাঁস৷ কোনও জায়গা আবার ঢেকেছে বাঁশ ঝাড়ে৷ রংবেরঙের বাঁশের সারিতে রঙিন হয়ে উঠেছে মণ্ডপ৷ আর এমন প্রফুল্ল কাননের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ প্রতিমা৷ অন্যান্য মণ্ডপে যেভাবে দেবী দুর্গাকে দেখতে অভ্যস্ত, এখানে কিন্তু একেবারেই তেমনটা চোখে পড়বে না৷ বরং পাশের বাড়ি শান্ত-স্নিগ্ধ মহিলাটির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতে পারেন মাকে৷ কারণ এমন সাজানো কাননে ছেলে মেয়েদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্বয়ং মা৷ লক্ষ্মী-সরস্বতী-কার্তিক-গণেশ ব্যস্ত বাগানে ফুল তুলতে৷ আর মা হাতে ফুলের সাজি নিয়ে সন্তানদের সামলাচ্ছেন৷ যেন বলছেন, আর ফুল তুলতে হবে না৷ সিংহ ও মহীষাসূরও রয়েছে আপন মেজাজে৷ মোটের উপর এমন মনোরম পরিবেশে সকলেই রয়েছে খোশ মেজাজে৷ শিল্পীর ভাবনাতেই তৈরি হয়েছে মায়ের এমন অনন্য রূপ৷
পাখির কলরব, বাঁশ বাগানের শব্দই প্রফুল্ল কাননের আবহকে পরিপূর্ণ করে তুলবে৷ এমন কানন দর্শনার্থীর মনকে প্রফুল্ল করে তুলবে, এমনই আশা শিল্পী৷ আর গতবারের মতো এবারও পুরস্কারের আশায় বুক বেঁধেছেন উদ্যোক্তারা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.