Advertisement
Advertisement

নস্ট্যালজিয়া উসকে হারিয়ে যাওয়া বারান্দা ফিরছে কাশী বোস লেনের পুজোয়

প্রদীপ দাস-সনাতন দিন্দার যুগলবন্দিতে জমজমাট পুজোর প্রস্তুতি৷

Pujo 2018: Kashi Bose Lane is grooming for Durga puja
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:October 2, 2018 4:47 pm
  • Updated:October 2, 2018 5:25 pm  

পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন কাশী বোস লেন সার্বজনীনের পুজো প্রস্তুতি৷

সুলয়া সিংহ: মা-মাসিদের আড্ডা কিংবা গানের রেওয়াজ৷ বৃষ্টি মুখর দিনে চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় মিশে যাওয়া কিংবা মন খারাপের বিকেলে একলা বসে থাকা৷ জীবনের এমন মুহূর্তগুলোর সঙ্গেই মিশে থাকে বাড়ির বারান্দাটা৷ সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার সাক্ষী থাকে অলিন্দ৷ কিন্তু কংক্রিটের জঙ্গলে আজ মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়াই দুরুহ৷ দু-কামরার ফ্ল্যাটে শহুরে ধাঁচে মানিয়ে-গুছিয়ে নেওয়াই এখন দোস্তুর৷ সেখানে বারান্দা বা ব্যালকনির অস্তিত্ব কোথায়! আর খোলা আকাশ দেখার জন্য এক চিলতে বারান্দার আবদার যদি করেন তবে তার জন্য মধ্যবিত্তকে আরও ঘাম ঝড়াতে হয়৷ অথচ এককালে এই বারান্দাই ছিল বাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণের জায়গা৷ যা আজ ঠাঁই পেয়েছে মানুষের স্মৃতিকোঠায়৷ এবার পুজোয় নস্ট্যালজিক হওয়ার পালা দর্শনার্থীদের৷ কারণ শিল্পী প্রদীপ দাসের ভাবনায় এবার ফুটে উঠতে চলেছে বাড়ির কোণের সেই হারিয়ে যাওয়া জায়গাখানিই৷ উত্তর কলকাতার কাশী বোস লেনে এবার বারান্দার ভিড়৷

Advertisement

উত্তর কলকাতার পুরনো ও বনেদি বাড়িগুলিতে আজও টানা বারান্দা চোখে পড়ে৷ দক্ষিণ কলকাতায় সে ছবি বিরল৷ তবে যতদিন যাচ্ছে, ততই আকাশ চুম্বি ফ্ল্যাটের ভিড়ে সেসবের অস্তিত্ব হারাচ্ছে৷ কত কীই না হত সেই বারান্দায়৷ রাখা থাকত স্কুটার কিংবা সাইকেল৷ অনেক সময় আবার লোহার সিঁড়ি দিয়ে পৌঁছে যেতে হত সেই মন ভাল করা জায়গাটিতে৷ কখনও আঁচাড়ের ডিব্বে সারি সারি করে রাখা থাকত তো কখনও স্নানের পর চুল খুলে বসতেন ঠাকুমা৷ সেসব দৃশ্য আজ অতীত৷ তবে কাশী বোস লেনে এবার সেসব দৃশ্যই যেন জীবন্ত হয়ে উঠছে৷ থিমের পোশাকি নাম আমার অলিন্দে৷ হারিয়ে যাওয়া অলিন্দকে ফেরাতে রীতিমতো ইট-বালি-সিমেন্ট ব্যবহার করে আস্ত বারান্দাও বানিয়ে ফেলেছেন শিল্পী৷ আবার পুরনো বনেদি বাড়ির বারান্দার ছোঁয়ায় সেজেছে মণ্ডপের ভিতরের অংশ৷ আর অলিন্দের একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বাড়ির মেয়ে৷ ফুরফুরে মেজাজে রঙিন সাজে যেন হাওয়ার সঙ্গে নেচে বেড়াচ্ছে সে৷ স্বাধীনচেতা সেই মেয়েই এখানে আনন্দময়ী মা দুর্গা রূপে ধরা দিচ্ছেন৷ আর আনন্দময়ীর মুখে হাসি ফুটেছে বিখ্যাত শিল্পী সনাতন দিন্দার হাতের ছোঁয়ায়৷

[পুজোয় ‘অন্তহীন প্রাণের’ কাহিনি বলবে উল্টোডাঙা পল্লিশ্রী]

প্রদীপ-সনাতন যুগলবন্দি এবার পুজো উদ্যোক্তা থেকে দর্শনার্থী, প্রত্যেকের প্রত্যাশাই দ্বিগুণ করে তুলেছেন৷ তাই উত্তর কলকাতার পুজো পরিক্রমায় বেরিয়ে এ পুজোকে অবশ্যই তালিকার উপরের দিকে রাখুন৷ নস্ট্যালজিক হবেনই৷

[পুজোর শহরে মুক্তির স্বাদ দেবে ওয়েলিংটন নাগরিক কল্যাণ সমিতি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement