Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুজোয় স্মৃতির রঙ্গমঞ্চে সেজে উঠছে গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীন

থিমের দায়িত্বে শিল্পী দম্পতি শুভদীপ ও সুমি মজুমদার।

Puja 2018: Gouriberia Sarbojanin to depict Opera stage as Theme
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:September 24, 2018 7:08 pm
  • Updated:September 24, 2018 7:08 pm  

পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীনের পুজো প্রস্তুতি৷

রোহন দে: সাবেকিয়ানা ছেড়ে থিমে প্রবেশ সবেমাত্র এক বছর। আর এই এক বছরের মধ্যেই কলকাতার অন্যান্য পুজোর সঙ্গে থিমের লড়াইয়ে নতুন ভাবনা তুলে ধরতে তৈরি গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীন। থিমের রঙ্গমঞ্চে যারা গতবছর প্রথম পদার্পণ করেছে এবার তারাই আস্ত রঙ্গমঞ্চ নিয়ে হাজির হচ্ছে। উত্তরের নামী পুজো গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীন। ঐতিহ্যশালী এই পুজো কমিটি থিমের অভিনবত্বে অন্যান্য পুজো কমিটিদের টেক্কা দিতে তৈরি করতে চলেছে গোটা একটি রঙ্গমঞ্চ। কালের গতিতে উত্তর কলকাতায় একের পর এক নাট্যমঞ্চ সব হারিয়ে যেতে বসেছে। মঞ্চ ভেঙে গড়ে উঠছে বহুতল। সেই হারিয়ে যাওয়া মঞ্চই এবারের থিম হতে চলেছে গৌরীবেড়িয়ায়। শিল্পী দম্পতি সুমি মজুমদার ও শুভদীপ মজুমদারের অনবদ্য ভাবনায় স্টেজের আদলে এবারে সেজে উঠছে গৌরীবেড়িয়ার মণ্ডপ। থিম হিসেবে এখানে তুলে ধরা হচ্ছে রঙ্গমঞ্চকে। দর্শনার্থীদের স্মৃতির সরণি বেয়ে  রঙ্গমঞ্চে নিয়ে যেতেই অভিনব এই ভাবনা। পুরনো থিয়েটারের আমেজ  থেকে রঙ্গমঞ্চ নিয়ে মানুষের যে উন্মাদনা তা সবই শোভা পাবে গৌরীবেড়িয়ার পুজো মণ্ডপে। খ্যাতনামা নাট্য ব্যক্তিত্বদের আবক্ষ মূর্তি, নাটকে ব্যবহৃত আলো, নাটকের স্টেজ থেকে শুরু করে উইংস, কার্টেনেই সেজে উঠছে গোটা মণ্ডপ।

Advertisement

[দশমীতেই গোটা গ্রামের প্রণাম পান ঝালদার ‘একদিনের রাজা’]

 

 থিম শিল্পী শুভদীপ মজুমদারের কথায়, রঙ্গমঞ্চের সঙ্গে দুর্গোৎসবের যোগাযোগ বহুদিনের। রঙ্গমঞ্চকে নিয়ে নানা সময়ে অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে নাট্য নির্দেশক কিংবা নাটকের দর্শক সবারই উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। দর্শক মণ্ডপে এলে বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান জানানো ছাড়াও নাটকের মঞ্চে ব্যবহৃত বিভিন্ন চেয়ার হোক কিংবা প্রপস থেকে নাটকের বিভিন্ন সংলাপ সবই দেখতে পাবেন। নাটকের চিত্রনাট্য থাকবে মণ্ডপের দুপাশে। প্রতিমার অধিষ্ঠান থাকবে ‘কমা’র মধ্যে। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই থাকবে প্রতিমা। শিল্পী পিন্টু শিকদারের হাতের ছোঁয়ায় গড়ে উঠছে প্রতিমা। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা সবেতেই থাকছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। পুরস্কারের আশা তো রয়েছেই। দর্শনার্থীদের বাহবাই যে শ্রেষ্ঠ পাওয়া তাও স্বীকার করলেন তিনি। পুজো কর্তাদেরও বক্তব্য, মণ্ডপ হোক কিংবা প্রতিমা সবেতেই থাকবে নতুনত্বের ছোঁয়া। দর্শনার্থীদের নতুন কিছু থিম তুলে দিতেই শিল্পীদের এই অভিনব ভাবনাকে নিয়ে কাজ করতে দেওয়া। ঐতিহ্যকে ধরে রাখার পাশাপাশি নতুনকে নিয়ে এগিয়ে চলাই লক্ষ্য গৌরাবেড়িয়া সর্বজনীন পুজো কমিটির। বিভিন্ন শারদ সন্মানে এই পুজো বহুবার ভূষিত হয়েছে, এবারও আশা পুরস্কারের ডালিতে ভরে উঠবে ক্লাব প্রাঙ্গন। দর্শনার্থীদের ভিড়ই জানান দেয় যে এই পুজো কতটা আকর্ষনীয়।

[৬০৬ বছর ধরে মা দুর্গার আরাধনায় ব্রাত্য এই রাজবাড়ির মহিলারা]

 

থিম পুজোর বাজারে সব পুজো কমিটিই নিত্য নতুন চমক লাগানো থিম আনছে ফি বছর। কিন্তু গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীনের থিম শুধুই চমক দেওয়ার জন্য নয়, আপনাকে রঙ্গমঞ্চে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। গোটা মণ্ডপ ঘুরে প্রতিমা দর্শন করে বেরনোর পথে দর্শনার্থীদের কানে ভেসে আসবে গ্রিন রুমের সেই আবহ আর মনে হবে নাটকের প্রথম ঘন্টা যেন বেজে উঠল। নস্ট্যালজিক রঙ্গমঞ্চের পুনরুজ্জীবনের সাক্ষী থাকতে যেতেই হবে গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীনের পুজোয়।

[কার্তিক সাজতে ব্যস্ত শিলিগুড়ির বিশ্বকর্মা, কী চলছে কুমোরটুলিতে?]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement