দীপাঞ্জন মণ্ডল, নয়াদিল্লি: প্রতিবাদ চলতেই পারে, তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে নয়। আন্দোলনের জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করতে হবে। আজ শাহিনবাগ মামলা নিয়ে এমনই মতামত দিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস কে কউলের বেঞ্চ। এ নিয়ে কেন্দ্র এবং দিল্লি পুলিশকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে তাদের মতামত, পদক্ষেপ সম্পর্কে। আগামী ১৭ তারিখ ফের এই মামলার শুনানি।
সোমবার মামলার শুনানি চলাকালীন বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণের কথা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি এস কে কউল। তিনি বলেন, “গত ৫০ দিন ধরে এই প্রতিবাদ চলছে। তাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। সাধারণের যাতায়াতের জায়গায় এভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিবাদ করা যায় না। যদি যে কেউ যে কোনও জায়গায় বসে এভাবে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন, তাহলে কী হবে? ” তিনি আরও বলেন, “প্রতিবাদ দেখানোর জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া দরকার।” শাহিনবাগে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিতে যাওয়ার পর প্রচণ্ড ঠান্ডায় মৃত্যু হয় শিশুর। এই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। কেন্দ্রকে পাঠানো নোটিসে এই প্রসঙ্গের উল্লেখ আছে বলে সূত্রের খবর।
CAA প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির শাহিনবাগে ধরনায় বসেছেন মহিলারা। আর তার জেরে ব্যাপক যানজট তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ সাধারণ নাগরিকের। শাহিনবাগ এলাকায় আন্দোলনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশিকা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক নন্দ কিশোর। তাঁর অভিযোগ, দিল্লির সঙ্গে নয়ড়ার সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে আমজনতাকে সমস্যা পড়তে হচ্ছে। হাসপাতাল ও স্কুলে যাওয়ার পথ রুদ্ধ হচ্ছে। অত্যন্ত ব্যস্ত ও গুরুত্বপূ্র্ণ এই এলাকায় প্রতিবাদ-আন্দোলন যাতে না করা হয়, তার জন্যও প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করা হয় আবেদনে। এর আগে দিল্লি আদালতে শাহিনবাগের অবস্থান বিক্ষোভের বিরোধিতায় আবেদন করেছিলেন আইনজীবী অমিত সাহনি।
গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে নন্দ কিশোরের মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু পরেরদিন দিল্লি নির্বাচন থাকায় এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি বিচারপতিরা। সোমবার ফের শুনানির দিন স্থির করেন। সেইমতো আজ নির্দেশ দেওয়া হয়, নোটিস পাঠানো হয়। পরবর্তী শুনানি ১৭ ফেব্রুয়ারি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.