Advertisement
Advertisement

Breaking News

নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে রাজ্যে টানা ভারী বর্ষণের আশঙ্কা

রবিবার ও সোমবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ যার রেশ চলতে পারে মঙ্গলবার পর্যন্ত৷

Possibility of heavy rain due to depression
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 21, 2016 11:03 am
  • Updated:August 21, 2016 11:15 am  

স্টাফ রিপোর্টার:  নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, সঙ্গে দোসর ডিভিসির অতিরিক্ত জল ছাড়া৷ দুশ্চিন্তার কালো মেঘ এখন রাজ্যের আকাশে৷ আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, মায়ানমারের উত্তরপশ্চিমে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে৷ যার জেরে রবিবার সারাদিন ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে৷ ফলে নতুন করে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে রাজ্যে৷

শেষ নিম্নচাপের জের এখনও বইতে হচ্ছে রাজ্যকে৷ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে গঙ্গা-সহ সব নদীর জলস্তর৷ ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ে নিম্নচাপ সরে গেলেও সেখানকার অতিরিক্ত বৃষ্টির জল ছাড়ে ডিভিসি৷ বেশ কয়েকটি রাজ্য ও জাতীয় সড়কে শনিবার দুপুরেই জল জমে যায়৷ সেচ দফতর সূত্রে খবর, এই অবস্থায় গোটা বিষয়টি নিয়ে সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন৷ জানতে চান, ডিভিসি বর্তমানে কোন বাঁধ থেকে কী পরিমাণে জল ছাড়ছে? তাতে সেচ দফতরের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে, মাইথন ব্যারেজ থেকে ৪০ হাজার ও পাঞ্চেত ব্যারেজ থেকে ছ’হাজার কিউসেক, মোট ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি৷ তথ্য হাতে পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী ডিভিসির ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন৷ তখনই ঠিক হয় ডিভিসিকে চিঠি লিখে অতিরিক্ত জল না ছাড়ার আবেদন করবে রাজ্য৷ রাজ্যের তরফে সব জেলা প্রশাসনকে আগামী ২৪ ঘণ্টা সতর্ক থাকার কথাও বলা হয়েছে৷ প্রতি জেলায় খোলা হয়েছে কণ্ট্রোল রুম৷

Advertisement

অন্যদিকে নিম্নচাপের বর্তমান অবস্থান নিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মায়ানমারের উপর নিন্মচাপ তৈরি হলেও তার অভিমূখ পশ্চিম দিকে হওয়ায় দুই মেদিনীপুর, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ দিল্লির মৌসমভবনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আজ রবিবার ও সোমবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ যার রেশ চলতে পারে মঙ্গলবার পর্যন্ত৷ ভারী বৃষ্টিপাত হবে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও৷

নিম্নচাপ তৈরি হতেই শহর ভাসার আশঙ্কায় রয়েছেন পুরকর্তারা৷ কারণ, শনিবারই পুরসভার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত গঙ্গায় জোয়ারের সময় জলস্তর বাড়বে৷ স্বাভাবিক জলস্তর থাকে তিন থেকে সাড়ে তিন মিটার৷ কিন্তু জোয়ারের জল বাড়বে প্রায় ছ’মিটার বা তারও বেশি৷ স্বাভাবিকভাবেই গঙ্গার সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলির জলস্তর বেড়ে জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে একাধিক ওয়ার্ডে৷ তার উপর রবিবার ও সোমবার বৃষ্টি হলে জল বেরনোর সমস্যা হতে পারে৷ যদিও জোয়ার কমার সঙ্গে সঙ্গে যাতে শহর থেকে বৃষ্টির জমা জল বের করে দেওয়া যায় তার জন্য সব পাম্পিং স্টেশনকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement