Advertisement
Advertisement

আবেশ মৃত্যুরহস্য: অমিত চৌধুরিকে ফের তলবের সম্ভাবনা

তাঁর বয়ান রেকর্ড করার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে সূত্রের খবর৷

Police officials probing the death of Aabesh Dasgupta after being allegedly hit by a broken alcohol bottle
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 28, 2016 4:33 pm
  • Updated:July 28, 2016 4:46 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সানি পার্কে ছাত্র-মৃত্যুর তদন্তে ফের দুই ছাত্রী-সহ চার পড়ুয়াকে লালবাজারে ডেকে পাঠাল পুলিশ৷ আজ দুপুরের পর তাদের ফের জেরা করা হবে৷ ওই চারজনের মধ্যে রয়েছে আবেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুটিও, যাকে ঘিরে বিতর্ক সবচেয়ে বেশি৷ সূত্রের খবর, আবেশের মৃত্যুতে লেখক অমিত চৌধুরিকেও ফের তলব করতে পারে লালবাজার৷ তাঁর বয়ান রেকর্ড করার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে সূত্রের খবর৷

এরই মধ্যে তদন্তে নেমে আরও একটি মদের দোকানের ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ টালিগঞ্জ এলাকার ওই দোকানটি থেকেও ঘটনার দিন দুপুরে মদ কিনেছিল ওই ছাত্র-ছাত্রীদের দল৷ আগেই একটি মদের দোকানের মালিক-সহ তিনজনকে ধরেছে পুলিশ৷ এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার৷ তবে ধৃতদের কেউ ঘটনায় সরাসরি যুক্ত নয়৷ তাদের বিরুদ্ধে নাবালকদের মদ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে৷ যদিও পুলিশের একটি সূত্র বলছে, তদন্তের জাল অনেকটাই গুটিয়ে আনা গিয়েছে৷ কলকাতার অভিজাত আবাসন সানি পার্কে এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে আবেশ দাশগুপ্ত নামে ছাত্রের মৃত্যুর কার্যকারণ অনেকটাই জানা গিয়েছে৷ নিছক দুর্ঘটনায় মৃত্যু না কি বচসার জেরে খুন, এই ঘটনায় কাদের গাফিলতি ছিল তাও বেশ স্পষ্ট তদন্তকারীদের কাছে৷ তদন্তের জাল অনেকটাই গুটিয়ে আনা গিয়েছে৷ তারই জেরে আজ ফের ডেকে পাঠানো হয়েছে চারজনকে৷

Advertisement

আগে দু’বার জেরা করা হয়েছে ঘটনায় সবচেয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া ছাত্রটিকে৷ তার কথায় বেশ কিছু অসংগতি পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ অমিল রয়েছে তার বয়ানে৷ তাই তাকে ফের জেরা করতে চান তাঁরা৷ পাশাপাশি আরও তিনজনকে ডাকা হয়েছে৷ তাদের পৃথকভাবে জেরা করার পর মুখোমুখি বসিয়ে কথা বলা হবে৷ রেকর্ড করা হবে বয়ান৷ এতেই স্পষ্ট হবে ঘটনাক্রম৷ আবেশ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার পর কারা পালিয়ে গিয়েছিল, কারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে, কার ঠিক কী ভূমিকা ছিল সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চায় পুলিশ৷ ইতিমধ্যে কয়েকবার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন তদন্তকারীরা৷ কথা বলেছেন আবাসিক ও নিরাপত্তারক্ষী এবং কেয়ারটেকারদের সঙ্গে৷ একটা বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না তাঁদের৷ নিরাপত্তারক্ষী ও কেয়ারটেকাররা জানিয়েছেন, তাঁরা কেউ কিছু দেখেননি৷ ঘটনার অনেক পর তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন৷ এটা কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে ধন্দ কাটছে না৷ তাঁদের উপরে কোনও চাপ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে ফের জিজ্ঞাসাবাদ হতে পারে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যা বলেছে, তা নিয়েও রহস্য ঘনীভূত৷ পড়ে গিয়ে চোট পেলে শরীরের অন্যান্য অংশে যতটা আঘাত থাকা উচিত তা নেই৷ এদিকেও নজর রয়েছে৷

এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ঘটনার দিন দুপুরেও তারা মদ কিনেছিল৷ টালিগঞ্জের একটি দোকান থেকে মদ কেনে৷ তারা প্রথমে যায় একটি অভিজাত ক্লাবে৷ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের ওই ক্লাব কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়, কমবয়সি ছাত্রদল দেখে সেখানে তাদের মদ খেতে দেওয়া হয়নি৷ তার যে টালিগঞ্জের দোকান থেকে মদ কিনেছিল তা জানা যায় তাদের জেরা করে৷ সেই দোকানের সিসিটিভি ফুটেজেও বিষয়টি ধরা পড়েছে৷ এর পর দোকানের ম্যানেজার মহাদেব পুরকাইতকে গ্রেফতার করা হয়৷ আগেই বালিগঞ্জ এলাকার একটি মদের দোকানের মালিক-সহ তিনজনকে ধরা হয়েছে৷ ধৃতদের আজ তোলা হবে আদালতে৷ সবমিলিয়ে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে তদন্তের জাল অনেকটাই গুটিয়ে আনা গিয়েছে৷ নিছক দুর্ঘটনা না কি হামলায় মৃত্যু আবেশের, তা জানা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement