Advertisement
Advertisement
Islamic state

কাশ্মীরে অশান্তির পিছনে ইসলামিক স্টেট

অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের বিক্ষোভের প্রকৃতি সম্পূর্ণ আলাদা...

Islamic state is behind the unrest situation in Kashmir
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 13, 2016 1:10 pm
  • Updated:August 12, 2021 6:07 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরি যুবকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলছে ইসলামিক স্টেটের মতো চরমপন্থী জঙ্গি সংগঠন, জানাল পিডিপি৷ কাশ্মীরে বিজেপির সহযোগী এই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছেন, আইএস ভাবধারা থেকে যুব সম্প্রদায়কে বিচ্ছিন্ন করতে কাশ্মীর জুড়ে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের মনে জাতীয়তাবোধ ও সার্বভৌমত্বের প্রতি আস্থা জাগিয়ে তুলতে হবে৷

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে পিডিপি সাংসদ মুজফফর বেগ জানিয়েছেন, অন্যান্য বারের আন্দোলনের চেয়ে এবারের আন্দোলনের প্রকৃতি আলাদা৷ তীব্রতাও বেশি৷ এই প্রথম ব্যপক চরমপন্থী জঙ্গি ধাঁচে আন্দোলন হচ্ছে উপত্যকায়৷ জোড়া-তালি দিয়ে এই পরিস্থিতি পাল্টানো যাবে না৷ তাঁর মতে, এবারের পরিস্থিতি চাপা আগ্নেয়গিরির মতো৷ এই পরিস্থিতির জন্য যে পাক গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনার প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে, সে কথাও ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ৷ কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী আন্দোলনকে এরকম সংগঠিত করা যায় না বলেই তাঁর মত৷

Advertisement

২০০৮, ২০১০ ও ২০১৩ সালেও অশান্ত হয়েছিল কাশ্মীর৷ কিন্তু এবারের বিক্ষোভের ধরন সম্পূর্ণ আলাদা বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও৷ তাঁর মতে, ভূ-স্বর্গের পরিস্থিতি খতিয়ে চোখে পড়েছে চরমপন্থার প্রভাব৷ তাঁর কথাতেও স্পষ্ট, আইএস জঙ্গি ভাবধারার প্রভাব রয়েছে এবারের বিক্ষোভে৷ পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে লাগাতার ইটবৃষ্টি, চোরাগোপ্তা হামলা-সবই পিছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে কোনও নিপুণ, প্রশিক্ষিত জঙ্গি গোষ্ঠী৷

বেগ আরও জানিয়েছেন, অন্যান্য বারের আন্দোলন মূলত শহরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকলেও হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে লেগেছে কাশ্মীরের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও৷ যে সমস্ত জায়গায় সেনাবাহিনীকে পৌঁছতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়৷ বিক্ষোভ ঠেকাতে ও সাধারণ মানুষের জীবন নিরাপদে রাখতে সেনার রসদ ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রাখা যায় না৷ বিশেষত, কাশ্মীরের মহিলারাও এবার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন৷

তৃণমূল সংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কাশ্মীরে রাজনৈতিক পালাবদলের পর পুরনো নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় কোনও ফল হবে না৷ যুব সম্প্রদায়ের ক্ষোভের কারণ জানতে তাঁদের মন বুঝতে হবে৷ কেন্দ্রের উচিত নতুন নেতার খোঁজ করে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement