Advertisement
Advertisement

বুরহানের মৃত্যুতে ‘সমব্যথী’ পাকিস্তানকে রাষ্ট্রসংঘে তুলোধোনা ভারতের

দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোয় বিরক্ত ভারত রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানকে আক্রমণ করে জোরালো বার্তা দিল৷

Pakistan was humiliated on the world stage on Wednesday after it attempted to crank up international pressure on India on the Kashmir issue
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 15, 2016 10:41 am
  • Updated:July 15, 2016 10:42 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় মানবাধিকার নিয়ে বিতর্ক৷ সেখানেই হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যু ও কাশ্মীরে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের প্রসঙ্গ তুলে বিতর্ক সৃষ্টি করল পাকিস্তান৷ অবশ্য সমুচিত জবাব দিয়েছে ভারতও৷ প্রতি আক্রমণে ভারত বলেছে, পাকিস্তান চিরকাল অন্যের ভূখণ্ডের দিকে লোলুপ দৃষ্টি দিয়েছে৷ সন্ত্রাসকে ব্যবহার করাই তাদের রাষ্ট্রীয় নীতি৷ রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী দূত সৈয়দ আকবরউদ্দিনের তীব্র আক্রমণে পাকিস্তানের চাল কার্যত ভেস্তে গিয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷

(কাশ্মীরে এখনও কারফিউ, মৃত বেড়ে ৩৪)

Advertisement

১৯৩ সদস্যের রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় মানবাধিকার নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন পাক দূত মালিহা লোধি৷ তিনি নিহত হিজবুল কমান্ডার ওয়ানিকে ‘কাশ্মীরের নেতা’ ও তাঁর মৃত্যুকে ‘অতিরিক্ত বিচারাধীন’ বিষয় বলে মন্তব্য করেন৷ রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন ফোরামে বারবার কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলা লোধি বলেন, “ভারতীয় সেনার হাতে বুরহান ওয়ানির মৃত্যু কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সবচেয়ে নৃশংস মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ৷ আরও অনেক নিরীহ মানুষ মারা গিয়েছেন৷” তাঁর আরও দাবি, কাশ্মীরের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অস্বীকার করে একচেটিয়া আটক, শাস্তিপ্রদান ও নানাবিধ স্বেচ্ছাচারী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে ভারত৷

পাল্টা আক্রমণ করে আকবরউদ্দিন পাকিস্তানকে একহাত নিয়ে বলেন, “আজ রাষ্ট্রসংঘের প্ল্যাটফর্মকে অপব্যবহার করার চেষ্টা হয়েছে৷ যা খুব দুঃখজনক৷ পাকিস্তান এমন একটা দেশ যাদের অন্যের সীমানায় লোভ রয়েছে৷ যারা সন্ত্রাসবাদীদের পৃষ্ঠপোষক৷ সেটাই তাদের দেশের রাষ্ট্রীয় নীতি৷ রাষ্ট্রসংঘ ঘোষিত জঙ্গিদের তারা আশ্রয় দেয়, মানবাধিকার রক্ষার ভান করে৷” তাঁর আরও কটাক্ষ, “আন্তর্জাতিক মহল তাদের সেই ভূমিকা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল৷ তাদের এই ট্র্যাক রেকর্ডের কারণেই পাকিস্তান এই অধিবেশনেই মানবাধিকার পর্ষদের সদস্য হতে পারেনি৷ আমরা আলোচনার মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষা ও তার বিস্তারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷”

(বুরহানের মৃত্যুতে ‘শোকস্তব্ধ’ পাকিস্তান ও হাফিজ সঈদ!)

উচ্চপর্যায়ের এই বিতর্কসভাটি ছিল আগাগোড়াই উত্তপ্ত৷ সভায় আকবরউদ্দিন বলেন, “গণতন্ত্র, সুশাসন, শক্তিশালী আইন ও বিচারব্যবস্থা এবং নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ মৌলিক অধিকার রক্ষা ও মানবাধিকার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ৷” পাশাপাশি, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপও সাফ বলেছেন, “কাশ্মীর একান্তভাবেই আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷ কোনও দেশ তাতে নাক গলানোর চেষ্টা করলেই বাস্তবটা পাল্টে যাবে না৷” তিনি আরও জানান, ভারত কখনও পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় গররাজি নয়৷ কিন্তু আলোচনা ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না৷

বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই কাশ্মীরের অশান্ত পরিবেশ নিয়ে পাকিস্তান নানা উস্কানিমূলক মন্তব্য করে আসছে৷ প্রথমে পাক বিদেশমন্ত্রক, পরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এ বিষয়ে মুখ খোলেন৷ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোয় বিরক্ত ভারত রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানকে আক্রমণ করে জোরালো বার্তা দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement