সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদীয় কমিটির মুখোমুখি হয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি এখনও জানেন না, তাঁর ছবির ভাগ্যে কী আছে। তবে এর মধ্যেই এই বিতর্কের প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ এল বম্বে হাই কোর্ট থেকে। আদালত সাফ জানাল, হুমকি দেওয়া এক নতুন ধরনের সেন্সরশিপে পরিণত হয়েছে।
[ এশিয়ার সেরা ছবি ‘দঙ্গল’, রাসেলের হাত থেকে অ্যাওয়ার্ড নিলেন সাক্ষী ]
‘পদ্মাবতী’ মুক্তি পেলে সিনেমা হল পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন নির্বাচিত জনপ্রিতিনিধিরাই। এমনকী পরিচালক ও অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনকে মৃত্যুর হুমকিও দেওয়া হয়েছে। সে প্রসঙ্গ টেনেই বম্বে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ জানাল, দেশ আসলে কোনদিকে এগোচ্ছে? আর কোনও সভ্য দেশে কি শিল্পীদের এরকম হুমকির মুখে পড়তে হয়? একজন পরিচালক একটি ছবি বানিয়েছেন। বহু মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। অনেকের রুটিরুজি যুক্ত তাতে। অথচ হুমকির জেরে সে ছবি মুক্তি হচ্ছে না। এই পরিণতি মর্মান্তিক। মন্তব্য আদালতের।
[ আরাধ্যাকে নিয়ে খোঁটা, মহিলাকে কী জবাব দিলেন অভিষেক? ]
গোবিন্দ পানসরে ও নরেন্দ্র দাভোলকরের হত্যার তদন্ত সংক্রান্ত এক শুনানির মধ্যেই এই প্রসঙ্গ টেনে আনে আদালত। নিহতদের পরিবারের পক্ষে আবেদন করা হয়েছিল, তদন্তে আদালত কোনও ব্যক্তিকে নিযুক্ত করুক। কেননা এখনও অপরাধীরা অধরা। সে কারণে সিআইডি ও সিবিআইকেও তিরস্কারের মুখে পড়তে হয় আদালতের। পাশাপাশি বিচারপতি এস সি ধর্মাধিকারী ও ভারতী ডাংরের ওই ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এখন দেশের যা অবস্থা তাতে কেউ নিজের মতপ্রকাশ করতে পারছে না। কেউ কিছু বললেই কিছু কট্টরবাদীরা তাদের থামিয়ে দিচ্ছে। গণতন্ত্রের পক্ষে এ ভাল বিজ্ঞাপন নয় বলেই মত আদালতের। ক্ষুব্ধ আদালত জানায়, আজ একজন প্রকাশ্যেই একজন অভিনেত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। কেউ আবার হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীরাও বলছেন যে, তাঁদের রাজ্যে পদ্মাবতী মুক্তি পেতে পারে না। এতে দেশের ভাবমূর্তিই ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, হুমকি দিয়ে জোর করে মতপ্রকাশ বা স্বাধীন কাজকে বন্ধ করে দেওয়াও এক অন্য রকমের সেন্সরশিপ। পদ্মাবতী প্রসঙ্গে দেশের এই অবস্থায় আদালত যে উদ্বিগ্ন, তা গোপন করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের মতো রাজ্য সামাজিক সংস্কারের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু আজ সেই গর্ব সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে ফিকেই হচ্ছে।
[ আজব নামে চিনে মুক্তি পেতে চলেছে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ]
অন্যদিকে গোয়ার বিজেপি মহিলা মোর্চা মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিকরের কাছে লিখিত আবেদন করছে যে, পদ্মাবতী যেন সেখানে মুক্তি না পায়। পারিকর জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন। তবে সেন্সর সার্টিফিকেট দেওয়ার পরই এ বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেওয়া হবে।
Panaji: BJP Mahila Morcha members gave memorandum to Goa CM Manohar Parrikar requesting him to not allow release of the film #Padmavati in the state. CM says, ‘will look into it, as of now censor certificate has not been granted, we will take call after that.’ pic.twitter.com/nK1QFOzPkY
— ANI (@ANI) December 7, 2017
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.