Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস হাসিনার

হাসিনা কীভাবে সন্ত্রাসের মোকাবিলা করছেন তা বিস্তারে জানতে চান মোদি৷

On the Sidelines of BRICS Summit, Modi Meets Nepal, Bangladesh PMs
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 17, 2016 9:05 am
  • Updated:October 17, 2016 9:06 am  

সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়: ব্রিকস-বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে প্রত্যাশিতভাবেই ভারত পাশে পেল তিন প্রতিবেশী– ভুটান, মায়ানমার ও বাংলাদেশকে৷ রবিবার ভুটান, মায়ানমার সন্ত্রাস ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে উরিতে পাক জঙ্গিদের হামলার নিন্দা করেছে৷ সম্মেলনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করেই বলেছেন, “বাংলাদেশের মাটিতে আমরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হতে দেব না৷” মায়ানমারের বিদেশমন্ত্রী ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়িনী আং সান সু কি বলেছেন, উরির ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা ভারতের অবস্থানের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং ভারতের পদক্ষেপ সমর্থন করি৷ এই উগ্রপন্থাকে দমন করতে আমাদের হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে৷ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে জানিয়েছেন, ভারত মাসের পর মাস ভয়াবহ জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছে৷ এটা মেনে নেওয়া যায় না৷ ভুটান ভারতে সব ধরনের জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করছে এবং ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করছে৷

এদিন মায়ানমার ও ভুটানের বক্তব্য সমর্থন করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, হাসিনা, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর জোর দেন৷ উন্নত ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলির জোট ব্রিকস-এর সঙ্গে বঙ্গোপসাগরীয় আঞ্চলিক দেশগুলির জোট বিমসটেক-এর সদস্য দেশগুলির মধ্যে সমন্বয়, ঘনিষ্ঠতা ও মেলবন্ধন বাড়াতে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

Advertisement

(বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর ব্যবহারে ব্রাত্য চিন, আশ্বাস হাসিনার)

সম্মেলনের পর রাত সাড়ে দশটার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হাসিনার আধ ঘণ্টার উপর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়৷ বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী হাসিনার প্রশংসা করেন মোদি৷ হাসিনা কীভাবে সন্ত্রাসের মোকাবিলা করছেন তা বিস্তারে জানতে চান৷ হাসিনা মোদিকে বলেন, তাঁর সরকার এ ব্যাপারে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে৷ ধর্মীয় নেতাদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে, ছাত্র-যুবদের ও তাদের অভিভাবকদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে, সামাজিক চেতনা বাড়ানো হচ্ছে৷ হাসিনা মোদিকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের জমিতে তিনি কোনওরকম সন্ত্রাসী কাজকর্ম হতে দেবেন না৷” শহীদুল জানান, দুই নেতাই মনে করেন, দুই দেশের নেতাদের মধ্যে আরও ঘন ঘন সফরের আয়োজন করা উচিত৷ সেজন্য প্রোটোকলের বাইরেও যদি যাওয়ার দরকার পড়ে, তবে তাও করা দরকার৷ ডিসেম্বরেই হাসিনার ভারত সফর নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলেও শহীদুল জানান৷ এদিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিস্তা প্রসঙ্গ নিয়ে বিস্তারিত কোনও কথা হয়নি৷ এই প্রসঙ্গে শহীদুল বলেন, “হাসিনার পরবর্তী ভারত সফরের সঙ্গে তিস্তা সম্পর্কযুক্ত নয়৷ বিষয়টির মীমাংসা ঠিক সময়ে হয়ে যাবে৷’’ বৈঠকে সার্ক প্রসঙ্গ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়৷ শহীদুল বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন না হওয়া সঠিক বলে বাংলাদেশ মনে করে৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement