Advertisement
Advertisement

মমতায় মুগ্ধ ওবামার দূত, ডাক আমেরিকায়

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ তিনি সাংবাদিকদের মমতার প্রশংসা করে বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যে আলোচনা শুরু হল, তা আরও এগিয়ে যাবে৷”

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 1, 2016 9:10 am
  • Updated:June 23, 2022 7:09 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমেরিকায় যাওয়ার আমন্ত্রণ করলেন হোয়াইট হাউসের দূত থমাস এ স্যানন৷ একইসঙ্গে এ রাজ্যে লগ্নির ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে আমেরিকা৷ মুখ্যমন্ত্রীও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাঁকেও কলকাতায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা পনেরো মিনিট বৈঠকের পর দৃশ্যতই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি অফ পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স থমাস৷ তিনি বলেছেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহার ও আতিথেয়তায় আমরা খুব খুশি৷” জানা গিয়েছে, বিপুল ভোটে জিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন বারাক ওবামার দূত৷ বিশেষ করে কমিউনিস্টদের পরাজিত করার জন্য বাংলার নেত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি৷ সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ তিনি সাংবাদিকদের মমতার প্রশংসা করে বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যে আলোচনা শুরু হল, তা আরও এগিয়ে যাবে৷”
মার্কিন কূটনীতিতে থমাস একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম৷ সেই অর্থে ওবামা প্রশাসনের তিনি ৪ নম্বর ব্যক্তি৷ রয়েছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বে৷ অক্সফোর্ড থেকে পিএইচডি করা এই কূটনীতিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা একটি তথ্যতেই বোঝা যাবে৷ তিনি দীর্ঘদিন ব্রাজিলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন৷ স্বভাবতই আমেরিকা যে বাংলার নেত্রীকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, তা এদিন বোঝা গিয়েছে৷ কলকাতা থেকেই তাঁর ভারত সফর শুরু করলেন মার্কিন দূত৷
থমাসের সঙ্গে এসেছিলেন আরও দুই কূটনীতিক ও কলকাতার মার্কিন কনসাল জেনারেল৷ এদিন বিকেলে উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে সোজা নবান্নে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ঠিক ৬ টা ৪০ মিনিটে নবান্নে আসেন মার্কিন দূত৷ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে সাদর আমন্ত্রণ করা হয়৷ বিশ্ব-বাংলার ব্র্যান্ডে তৈরি নানা সামগ্রী উপহার হিসাবে তুলে দেওয়া হয়৷ ছটা ৪৫-এ শুরু হয় বৈঠক৷ ছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিত্‍ করপুরকায়স্থ৷ একসময় এসে পড়েন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারও৷ বদলে যাওয়া কলকাতা দেখে মার্কিন কূটনীতিক যে মুগ্ধ তা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান তিনি৷ ঘরোয়া আলোচনায় উঠে আসে নানা কথা৷ তাঁর সঙ্গে হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মার্কিন দেশে ভোট আসন্ন৷ বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পর হিলারির দিকেই পাল্লা ভারী৷ আগেই আমন্ত্রণ ছিল৷ কিন্তু এই ভোটের জন্য মমতা তাঁর আমেরিকা সফর এক বছর পিছিয়ে দিয়েছেন৷ এদিন মার্কিন কূটনীতিক তাঁকে সামনের বছর সে দেশে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান৷ মমতা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টকেও কলকাতায় স্বাগত৷ দীর্ঘ বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে দৃশ্যতই তৃপ্ত মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেক বিষয়েই মার্কিন কূটনীতিকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে৷ তার মধ্যে বিনিয়োগ, সংস্কৃতি, কারিগরি, সোশ্যাল মিডিয়া-সহ একাধিক বিষয়ে কথা হয়েছে৷” আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার কথা জানিয়ে মার্কিন দেশে পড়াশোনা করছেন বাংলার এমন বহু ছাত্র-ছাত্রীর কথা তোলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জানান, কথা হয়েছে তাঁদের নিয়েও৷ বৈঠকশেষে মার্কিন কূটনৈতিক দলকে আতিথেয়তা জানিয়ে নবান্নের সদর দরজা পর্যন্ত পৌঁছেও দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ এদিকে আজ, শুক্রবার সল্টলেকে উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement