ছবি
নব্যেন্দু হাজরা: ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন৷ এগুলি করানোর কথা ভাবতেই মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয় আম-আদমির৷ কোথায় যাবেন, কার কাছে যাবেন? চিন্তার শেষ নেই৷ শুরুতেই মাথায় আসে দালালদের পিছনে একগাদা টাকা খরচের ভাবনা৷
দালালদের এই দৌরাত্ম্য বন্ধ করতেই এবার নড়েচড়ে বসছে রাজ্য সরকার৷ সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে প্রতি আরটিও অফিসে আলাদা করে খোলা হবে হেল্প ডেস্ক৷ সেখানে গিয়েই জানতে পারা যাবে, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করাতে গেলে কোন ফর্ম ফিল-আপ করতে হবে, কত টাকা লাগবে, কার কাছে তা জমা দিতে হবে৷ এতদিন এই সব কাজ করার জন্য থাকত মিডলম্যানরা৷ যে কোনও আরটিও অফিসে কাজ নিয়ে গেলে তাঁদের নজর এড়িয়ে কিছু করাই মুশকিল ছিল৷ কিন্তু পরিবহণ দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পরই দালাল দৌরাত্ম্য বন্ধে সচেষ্ট হয়েছেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁরই নির্দেশে এই হেল্প ডেস্ক চালুর প্রক্রিয়া শুরু করছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা৷
ঠিক হয়েছে এক মাসের মধ্যেই রাজ্যের প্রতিটি আরটিও এবং এআরটিও অফিসে এই হেল্প ডেস্ক খোলা হবে৷ খুব শীঘ্রই সেই নির্দেশিকা পৌঁছে যাবে জেলায় জেলায়৷ পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে শুরু করে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন – আবেদনকারীরা সবই পাবেন আবেদন করার সাত দিনের মধ্যে৷ নবান্ন সূত্রের খবর, আবেদন করার পাঁচটি ওয়ার্কিং ডে-র মধ্যে হাতে হাতে দেওয়া হবে লাইসেন্স৷ গাড়ির রেজিস্ট্রেশনও হবে একই পদ্ধতিতে৷ লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সর্টিফিকেট দেওয়া-সহ যাবতীয় কাজে স্বচ্ছতা আনতে এই হেল্প ডেস্ক চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷
নবান্ন সূত্রের খবর, প্রতি জেলায় যেমন আরটিও অফিস রয়েছে, তেমনই রয়েছে প্রতি মহকুমায় এআরটিও অফিসও৷ ফলে এই হেল্প ডেস্ক খোলা হবে এআরটিও অফিসেও৷ পাশাপাশি অফিস চত্বরে যেন কোনওভাবে মিডলম্যানদের উপদ্রব না দেখা যায়, সেকারণে চলবে নজরদারিও৷
এতদিন সরকারি কর্মচারীরা বিষয়গুলো দেখলেও তা কার্যত নিয়ন্ত্রিত হত দালালদের হাতেই৷ ঘুরতে হত দরজায় দরজায়৷ তাই বাধ্য হয়ে দালালদের শরণাপন্ন হতে হত৷ অভিযোগ ছিল, পরিবহণ দফতরের একশ্রেণির অফিসারের সঙ্গে অলিখিত চুক্তি রয়েছে এই দালালদের৷ তাঁদের হাত দিয়ে কাজ না নিয়ে গেলে এতদিন কাজ হত না৷ সেই মিথ এবার ভাঙতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.