নির্মল ধর: বহু বছরের চেষ্টার পর বড়পর্দায় আসছে সত্যজিৎ রায়ের আর এক অমর সৃষ্টি। প্রফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু। ব্যয়বহুল এই সিনেমা তৈরির জন্য পরিচালক সন্দীপ রায়ের দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষ। সৌজন্যে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস। তাদের প্রযোজনাতেই পর্দায় আসছে ‘প্রফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো’। ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়ে গেল বুধবার বিকেলে।
[সব চরিত্রই কাল্পনিক নয়! সাত পাকে বাঁধা পড়লেন রিল জুটি গৌরব-ঋদ্ধিমা]
সত্যজিতের ‘নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো’ কাহিনি অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে এই ছবি। যেখানে প্রফেসরের ভূমিকায় দেখা যাবে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়কে। আর নকুড়বাবুর চরিত্রে রয়েছেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, ছবির ভাষায় ইংরাজির প্রাধান্য থাকবে। তবে নকুড়বাবুর মতো চরিত্র যেখানে রয়েছে সেখানে বাঙালিয়ানা থাকাও বাধ্যতামূলক। এদিন ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় পরিচালক জানান, প্রফেসর শঙ্কু বরাবরই তাঁর ড্রিম প্রজেক্ট ছিল। তা এতদিনে বাস্তব হয়ে ওঠায় খুশি তিনি। বাবার সৃষ্টি ফেলুদার পর এবার প্রফেসর শঙ্কুকে বড় পর্দায় আনতে পারছেন। এটাই বড় পাওনা তাঁর কাছে।
আগামী বছরের শুরুতেই কলকাতা পর্বের শুটিং হবে। তারপর বিদেশে রওনা দেবে গোটা টিম। শুটিং হবে ইউরোপ ও ব্রাজিলের লোকেশনে। তবে তা জুলাই, আগস্টের আগে নয়। গল্পের খাতিরেই ছবিতে থাকবে জার্মান, ব্রাজিলিয়ান, ব্রিটিশ চরিত্র। সে সব দেশের শিল্পী এখনও বাছাই হয়নি। তবে টলিউডের অনেক চেনামুখেদেরও ছবিতে দেখা যাবে। এমন চরিত্র করতে পেরে উচ্ছ্বসিত ধৃতিমান। বললেন, ‘মনে রাখতে হবে শঙ্কুর গল্প শুধু বাংলার বা বাঙালির নয়, এটা একটা ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট। ছবির মানকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।’ নকুড়বাবুর চরিত্র পেয়ে খুশি শুভাশিসও। বলেন, ‘বাবুদা আমায় বরাবরই চ্যালেঞ্জিং রোল দেন। এবারও দিলেন। আমার বিশ্বাস এই নকুড়ের চরিত্র আমার অভিনয় জীবনে আবারও একটি মাইলস্টোন হতে চলেছে।’
কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি। তাই ভিএফএক্স-এর কাজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেটার উপরই এখন সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন সন্দীপ। এ নিয়ে কোনও আপস করবেন না তিনি। কলকাতার পাশাপাশি কাজ হবে মুম্বইয়ের স্টুডিওতেও। ফেলুদার মতোই প্রফেসর শঙ্কুকেও অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে হবে যে!
[‘পদ্মাবতী’কে নিষিদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আরজি কর্ণি সেনার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.