মৃন্ময় লাহিড়ী, কোচবিহার: বিদ্যালয়ে পড়ুয়া পা রাখলেই অভিভাবকের মোবাইলে পৌঁছে যাবে এসএমএস৷ স্কুল কামাই রুখতে অভিনব এই উদ্যোগ নিয়েছে কোচবিহারের প্রাচীন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেনকিন্স স্কুল৷ ইতিমধ্যে রাজ্যের শিক্ষা দফতরে আড়াই লক্ষ টাকার একটি পরিকল্পনা জমা দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ এই ব্যবস্থা চালু হলে ছাত্রদের দেওয়া হবে নতুন পরিচয়পত্র৷ যার মধ্যে থাকবে একটি চিপ৷ আর বিদ্যালয়ে লাগানো থাকবে ইউএইচএফ-আরএফআইডি রিডার৷ যার মাধ্যমে স্কুলে পা দিলেই ছাত্রের অভিভাবকের কাছে পৌঁছে যাবে এসএমএস, পাশাপাশি স্কুলে লাগানো সার্ভারে যোগ হবে ওই ছাত্রের উপস্থিতি৷
কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার নাম করে বের হলেও স্কুলে না গিয়ে ছাত্রের অন্যত্র যাওয়ার সমস্যা শুধু জেনকিন্স স্কুলের নয় রাজ্যের অন্যান্য বিদ্যালয়েও রয়েছে৷ এক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের যেমন দায়িত্ব রয়েছে ঠিক তেমনই অভিভাবক ও প্রশাসনেরও দায়িত্ব অস্বীকার করা যায় না৷ তাই যন্ত্রসুরক্ষা চালু হলে এই সমস্যা মিটবে৷ শিক্ষা দফতরের অনুমোদন পেলেই এই ব্যবস্থা চালু হবে৷”
কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলে বর্তমানে ছাত্রসংখ্যা ১৩০০’র উপরে৷ ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাত্রদের স্কুল কামাই৷ বিশেষ করে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে এই প্রবণতা বাড়ছে৷ স্কুলে আসার নাম করে বাড়ি থেকে বের হলেও স্কুলে না এসে অন্য কোথাও চলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা৷ আবার স্কুল ছুটির সময়ে বাড়ি ফিরছে৷ ফলে অভিভাবকরাও কিছু বুঝতে পারছেন না৷ বুধবার তিনজন ছাত্র বাড়ি থেকে বের হলেও স্কুলে আসেনি৷ স্কুল কর্তপক্ষের সন্দেহ, স্কুল কামাই করে বিভিন্ন সাইবার কাফেতে বসে সময় কাটাচ্ছে বা ভিডিও গেম পার্লারে গিয়ে বসে থাকছে তারা৷ আবার উঠতি বয়সে মাদকচক্রের পাল্লায় পড়াও অসম্ভব নয়৷ তাই কোনও উপায়ান্তর না থাকায় এবার যন্ত্রসুরক্ষা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷
পড়ুয়ারা স্কুলে পা দিলেই যেমন অভিভাবকরা মোবাইলে এসএমএস পাবেন আবার ঠিক তেমনই স্কুল ছুটির পর স্কুল থেকে বের হওয়ার সময়ও এসএমএস চলে যাবে৷ ফলে সন্তানকে নিয়ে সচেতন থাকতে পারবেন অভিভাবকরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.