স্টাফ রিপোর্টার: লাগে টাকা, দেবে গৌরী সেন৷ এই নীতিতেই বছরের পর বছর পার করে দিয়েছে পরিবহণ নিগমগুলো৷ নতুন নতুন বাস কেনা হয়েছে৷ কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই সেগুলোকে বাতিল করে তা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে৷ এদিকে সেই বাস কিনেই তার ভোল বদলে আবার রাস্তায় নামিয়েছেন বেসরকারি মালিকরা৷ কিন্তু এখানেই উঠেছে প্রশ্ন৷ বেসরকারি মালিকরা যদি পরিবহণ নিগমের বাতিল বাস সারিয়ে ফের রাস্তায় নামাতে পারেন, তবে কেন সরকার তা নামায়নি?
পুরনো রেকর্ড হাতড়াতে গিয়ে এমনই সব তথ্য উঠে এসেছে আধিকারিকদের হাতে৷ আর তাই এবার পড়ে থাকা পুরনো বাসও সারিয়ে নিয়ে রাস্তায় নামাতে উদ্যোগী হয়েছে পরিবহণ দফতর৷ সাত-আট বছরের পুরনো যে বাসগুলো বাতিল বলে ডিপোয় ফেলে রাখা হয়েছে, সেই বাসকেই সারিয়ে তা রাস্তায় নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ বিষয়টি দেখতে তৈরি করা হয়েছে একটি কমিটিও৷ এই কমিটিই দেখবে কোন বাসের কী অবস্থা? কিভাবে সেগুলোকে সারিয়ে ফের রাস্তায় নামানোর উপযোগী করে তোলা যায়৷
সিটিসি, সিএসটিসি এবং ডব্লুবিএসটিসি’র প্রায় ২৫০-৩০০ বাস বিভিন্ন ডিপোয় পড়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এই তিন নিগমের চেয়ারম্যান রচপাল সিং বলেন, “১৫ বছরের কম বয়সি বাস চলতে পারে রাস্তায়৷ তাই এগুলোকে বাতিল করব কেন? এই বাসগুলোকে সারিয়ে আমরা ফের রাস্তায় নামাব৷”
রাস্তায় এসি, নন-এসি সরকারি বাসের সংখ্যা বেড়েছে আগের তুলনায়৷ কিন্তু পরিবহণ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, এখনও সাধারণ মানুষকে বেসরকারি বাসের উপরই বেশি ভরসা করতে হয়৷ কারণ সরকারি বাসের সংখ্যা কম৷ জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে প্রায় ৭০০ বাস এসেছে৷ কিন্তু বসে গিয়েছে অনেক পুরনো বাস৷ সিটিসি, সিএসটিসি এবং ডব্লুবিএসটিসি মিলিয়ে সেই সংখ্যাটা প্রায় ৩০০৷ যা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ৷
তবে সম্প্রতি দফতরের এই ব্যাধি আটকাতে কড়া দাওয়াই দেওয়া হয়েছে৷ তিনটি নিগমের পুরনো বাস সারিয়ে তা নামানো হবে বলে এদিন জানান রচপাল সিং৷ নিগমের আধিকারিকদের নিয়েই তৈরি হয়েছে একটি কমিটি৷ কোন বাসের কী অবস্থা তা নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হবে৷ সেই রিপোর্ট জমা পড়ার পরই ঠিক হবে ভবিষ্যত কী পরিকল্পনা নেওয়া হবে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.