Advertisement
Advertisement

জন্মদিনে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ‘মিসাইল ম্যান’কে স্মরণ দেশবাসীর

‘মাই লাইফ ইজ মাই মেসেজ’-আধুনিক ভারতে গান্ধীর এ কথার সার্থক রূপায়ণ যদি কারও জীবনে খুঁজে পাওয়া যায়, তবে তিনি নিঃসন্দেহে এপিজে আব্দুল কালাম৷

Nation Remembers Missile man in his Birth Day
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 15, 2016 10:03 am
  • Updated:August 9, 2021 3:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুমিয়ে যা দেখো সেটা স্বপ্ন নয়, স্বপ্ন তাই যা তোমায় ঘুমোতে দেয় না এভাবেই তিনি কয়েকটা প্রজন্মকে, জাতিকে স্বপ্ন দেখাতে শিখিয়েছেন৷ শিখিয়েছেন আত্মবিশ্বাস অর্জন করে কীভাবে ডানায় আগুন নিয়ে পাড়ি দিতে হয় স্বপ্নের উড়ানে৷ হ্যাঁ, তার নেপথ্যে থাকে অধ্যবসায়, থাকে অনুশীলনের কষ্টকর মুহূর্ত৷ কিন্তু সকলকে ছাপিয়ে যেতে গেলে স্বপ্ন দেখতেই হয়৷ আর তাই ক্রমাগত একটা জাতিকে স্বপ্ন দেখতে উদ্বুদ্ধ করতেন তিনি৷ বলতেন, স্বপ্ন স্বপ্ন শুধু স্বপ্ন দেখো৷ স্বপ্ন থেকেই ভাবনার জন্ম৷ আর ভাবনাই পরিণতি পায় কাজে৷ অনমনীয়তার অনুশীলনে তিনিই শিখিয়ে গিয়েছেন ঋজু থাকার মন্ত্র৷ বলেছেন, আমরা কখনও হার মানব না৷ কোনও সমস্যাকে কখনও আমাদের হারিয়ে দিতে দেব না৷ আর কে না জানে এই স্বপ্নের ফেরিওয়ালার নাম এপিজে আব্দুল কালাম৷ জন্মদিনে দেশের মিসাইল ম্যানকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে দেশবাসী৷

‘মাই লাইফ ইজ মাই মেসেজ’-আধুনিক ভারতে গান্ধীর এ কথার সার্থক রূপায়ণ যদি কারও জীবনে খুঁজে পাওয়া যায়, তবে তিনি নিঃসন্দেহে এপিজে আব্দুল কালাম৷ দারিদ্র ও অন্যান্য সমস্ত প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করেও যে জীবনে শীর্ষে আরোহণ করা যায় তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন৷ আবার শীর্ষে থেকেও লোভ, স্বার্থের হাতছানি উপেক্ষা করে যে শিকড়ের কাছাকাছি মাটির মানুষ হয়ে থাকা যায় তাও দেখিয়ে দিয়েছিলেন৷ তিনি শুধু তাই ব্যতিক্রমীই নন, দৃষ্টান্তস্বরূপ৷ ‘পোখরান-২’ পরমাণু পরীক্ষায় তাঁর দক্ষতা ও মুনশিয়ানাই ভারতকে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে একধাপ এগিয়ে দিয়েছিল৷ মিসাইল টেকনোলজিতে দেশকে প্রায় নিজের পায়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷  আজ সেই কারণেই পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে ভারতকে এখন সমঝে চলে বাকি দুনিয়া৷ কিন্তু এই কি সব? কালাম যে অন্য ধাতুতে গড়া মানুষ৷ আর তাই মিসাইলের উড়ান তাঁকে যতটা আনন্দ দিত, ততোটাই তৃপ্তি দিত হৃদরোগ থেকে মানুষদের সেরে ওঠা৷ কেননা জটিল হৃদরোগের চিকিৎসাও মিসাইল টেকনোলজিরই অবদান৷ এভাবেই মানবতার বৃহত্তর বার্তাকে তিনি সঞ্চারিত করে দিতে পেরেছিলেন দেশবাসীর অন্তরে৷

Advertisement

রাজনীতির দুনিয়া তাঁকে পেয়েছিল ২০০২ সালে৷ রাজনীতির মানুষ তিনি নন, তবু তাঁর কাজ, স্বার্থত্যাগ তাঁকেই অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছিল দেশের ‘পিপলস প্রেসিডেন্ট’৷ ভালবাসতেন ছাত্রদের৷ আজবীন নিজেও ছিলেন স্বভাবে এক জিজ্ঞাসু ছাত্র৷ সেই অণ্বেষণ চারিয়ে দিতে চাইতেন তরুণ মনে৷ দেশের বহু স্কুলে স্কুলে গিয়ে ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করেছেন৷ শিলংয়ে সেরকম এক অনুষ্ঠানে ছাত্রদের মাঝে থেকেই উড়ান থেমেছিল আগুন ডানার৷

কিন্তু সত্যি কি আর উড়ান থামে? কেননা যে উড়ান সঞ্চারিত প্রজন্মের স্বপ্নে তার কোনও রানওয়ে থাকে না৷ Great dreams of great dreamers are always transcended – এ যে শুধু তাঁর কথার কথা নয় তা অনুভব করা  যায় মৃত্যুর পরও তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তা দেখে৷ বিজ্ঞানসাধক, রাষ্ট্রপতি কিংবা জনপ্রিয় শিক্ষক এই প্যারামিটারে বোধহয় তাই কালামকে মাপা যায় না৷ আসলে তিনি নিজেও এমন এক অনুপ্রেরণা, এমন এক স্বপ্নের দিশারী যা ঘুমোতে দেয় না গোটা জাতিকে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement