সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকই উত্তপ্ত কাশ্মীর৷ আজাদ কাশ্মীরের ডাক দিয়ে কাশ্মীরের এক শ্রেণির মানুষের কাছে নায়ক হয়ে উঠেছিলেন বুরহানি৷ আর তাই তার মৃত্যুতে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে উত্তাল হয়ে ভূস্বর্গ৷ যার জেরে কারফিউ জারি করা হয় উপত্যকায়৷ রক্তপাতের ঘটনা এখনও লেগেই আছে৷
কিন্তু এই হিংসা-রক্তপাতের মধ্যেই কাশ্মীর দেখাল কেন প্রাকৃতিক নৈঃস্বর্গ পেরিয়েও তা পৃথিবীর স্বর্গ হয়ে উঠতে পারে৷ এক কাশ্মীরি পণ্ডিত রমণীর মৃত্যুর পর তাঁর শেষকৃত্যের দায়িত্ব তুলে নিলেন মুসলিমরাই৷ কারফিউ উপেক্ষা করে তাঁরাই করলেন সব কাজ৷
প্রসঙ্গত এই বুরহানই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুর্নবাসনের বিরোধিতা করেছিল৷ সরকারি তরফে তা করে হলে রক্ত ঝরানোর হুমকি দিয়েছিল উপত্যকার তথাকথিত বিদ্রোহী নায়ক৷ কিন্তু এই জঙ্গি প্ররোচনার থেকে মানবিকতা যে মাত্রায় কত বড় এদিনের ঘটনা তারই প্রমাণ দিল৷
মহারাজ গঞ্জের শেখ মহল্লার বাসিন্দা দীপক মালহোত্রার মায়ের প্রয়াণের খবর পেয়ে এগিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা৷ এ এলাকায় দীর্ঘদিনের বাসিন্দা তাঁরা৷ ১৯৯০-এ কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উচ্ছেদ করা হলেও, তাঁরা থেকে গিয়েছিলেন৷ তাই প্রতিবেশীদের কাছে প্রিয় এই পরিবার৷ তাঁদের দুঃখের দিনে চুপ করে বসে থাকেননি প্রতিবেশীরাও৷ তাঁরা সকলেই ইসলামধর্মাবলম্বী৷ কারফিউয়ের নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের একসঙ্গে থাকায় বিপদ হতে পারত৷ কিন্তু সে সবের তোয়াক্কা করেননি তাঁরা৷ কাঁধে শবদেহ বয়ে তাঁরাই কাশ্মীরি পণ্ডিত রমণীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে সাহায্য করেন৷
একদিকে যখন হিংসার জেরে রক্তাক্ত কাশ্মীরের ছবিটিই ভেসে উঠছে দেশের সামনে, তখন মানবিকতার এ ছবি যেন প্রকৃত কাশ্মীরকে তুলে ধরল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.