Advertisement
Advertisement

দেবী চৌধুরানির মন্দিরে কালীপুজোর দায়িত্ব সামলান মমতাজ

কালীপুজোর দিন রাতভর পুজো চলে মন্দিরে।

Muslim priest worships Kali
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:November 6, 2018 5:42 pm
  • Updated:November 6, 2018 5:42 pm  

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: মন্দিরের দায়িত্ব সামলান মমতাজ। তাঁকে কাছে না পেলে পুজোয় বসে হাতড়ে বেড়াতে হয় মন্দিরের প্রধান পুরোহিতকে। এককথায় জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন গোশালা মোড়ে দেবী চৌধুরানী মন্দিরের শেষ কথা বছর পঞ্চাশের মমতাজ মহম্মদই। গবেষকের দাবি, দেবী চৌধুরানি উপন্যাসে এই মন্দিরের কথা উল্লেখ করেছেন সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিম চট্টোপাধ্যায়। সে যাই হোক, বর্তমান সময়ে সম্প্রীতির এক নজির তৈরি করেছে জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানি মন্দির।

[পঞ্চমুণ্ডির আসনে পূজিতা হন আউশগ্রামের খেপি মা]

Advertisement

মমতাজ মহম্মদই প্রথম নন। জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সুভাষ চৌধুরি জানিয়েছেন, মন্দিরের এটাই প্রথা। এর আগেও একজন মুসলিম ব্যক্তি পুজোর জোগাড়ের কাজ করতেন। তারপর থেকে মমতাজই এই কাজ করছেন। পুজোর ফুল, বেলপাতা আনা থেকে পুজোর বাসন মাজা, মন্দির সাফাই, সবই একা হাতে সামলান মমতাজ। তাঁর বক্তব্য, আল্লা ও ভগবানের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। ভাল লাগে বলেই এই কাজ করেন। একসময় নাকি নরবলি হত জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানির মন্দিরে। শোনা যায়, ১৮৯০ সালে নরবলির অভিয়োগে প্রাণদণ্ড হয়েছিল মন্দিরের কাপালিক নয়নের। তারপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় নরবলি। পাঁঠাবলির রীতি অবশ্য এখনও আছে। কালীপুজোর দিন রাতভর পুজো চলে দেবী চৌধুরানির মন্দিরে। প্রধান পুরোহিত সুভাষ চৌধুরি জানিয়েছেন, দেবীকে তিস্তার মহাশোল মাছ ও বোয়াল মাছ দেওয়া হয়। রাতভর চলে পুজো। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে ভীড় জমান মন্দিরে। 

[ শ্যামা মাকে দু’ভাগ করেই পুজো হয় এই গ্রামে, কেন জানেন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement