Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাঁকিকে জেরা করে আরও তথ্য চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা

বারাসত আদালতে ধৃতের পুলিশি হেফাজত চাইলেন সরকারি আইনজীবী৷

middleman linked to Jaish-e-Mohammed and Hizbul Mujahideen was picked up by police from the Indo-Bangladesh border
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 18, 2016 4:26 pm
  • Updated:July 18, 2016 4:26 pm  

স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতা: বস্তাভর্তি গাঁজা-সহ বসিরহাটের মাটিয়া থেকে ধৃত আবদুল বাঁকি মণ্ডলকে জেরা করবেন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের গোয়েন্দারা৷ বাঁকিকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ৷ আরও জেরার জন্যই বারাসত আদালতে পুলিশি হেফাজতের দাবি সরকারি আইনজীবীর৷

পুলিশ ও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গাছা গ্রামে নিজের ভেড়ি রয়েছে বলে পরিচয় দিত বাঁকি মণ্ডল৷ যদিও সেই ভেরির মাধ্যমেই বাংলাদেশে যাতায়াতের সুবিধা নেওয়া হত৷ একটি ডোবা টপকালেই বাংলাদেশে চলে যাওয়া যেত৷ উল্লেখযোগ্য বিষয়, বাঁকির কোনও মোবাইল ছিল না৷ জঙ্গি সংগঠন ও পাচারচক্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নির্দিষ্ট কয়েকটি টেলিফোন বুথের সাহায্য নিত৷ একটি বুথ থেকে ফোন করত৷ আবার অন্য একটি বুথে ফোন ‘রিসিভ’ করত৷ যোগাযোগ ছিল লস্কর-ই-তৈবা বা জৈশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে৷ আদতে টাকা-পয়সা ও যাবতীয় প্রয়োজন মেটাত বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-ই-ইসলাম৷ তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল আবদুল বাঁকি মণ্ডলের৷

Advertisement

(৩০ কেজি গাঁজা-সহ বসিরহাটে ধৃত জঙ্গি-লিঙ্কম্যান)

২০০৩ সালে পাকিস্তানে গিয়ে সে লস্কর-ই-তৈবা, হিজবুল মুজাহিদ্দিন, জৈশ-ই-মহম্মদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছে৷ কোনও পাসপোর্ট ছিল না৷ তাও এদেশ-ওদেশ পারাপার প্রায়ই করত সে৷ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানেও নিয়মিত যাতায়াত ছিল৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পাকিস্তানে দুঃসম্পর্কের দাদা থাকে বলে জানিয়েছিল প্রতিবেশীদের৷ গোয়েন্দারা অবশ্য এমন দাদা-র হদিশ পায়নি৷ অযোধ্যা হামলার পর ২০০৫ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে৷ ২০১২ সালে দিল্লি হাই কোর্ট থেকে জামিন পায়৷ তারপরই একপ্রকার ‘অন্তর্হিত’ হয় সে৷ এরপর ২০১৩ সালেই বসিরহাট সীমান্ত এলাকা থেকে জাল নোট পাচার করায় পুলিশ গ্রেফতার করে৷ জাল নোট, হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল বাংলাদেশে পাচার করত৷ পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ভারতে ‘জঙ্গিদের’ অনুপ্রবেশ করাত৷ জঙ্গি সংগঠনের ‘আন্ডার কভার এজেণ্ট’ হিসাবেই কাজ করত সে৷ এর পাশাপাশি জঙ্গি কার্যকলাপ যখন থাকত না, তখন নোটপাচার-সহ অন্য কাজ করত৷

বাঁকির দুই স্ত্রী, আমিনা ও আসুরা৷ কেউই অবশ্য বসিরহাটে থাকে না৷ বাংলাদেশে হামলার পরই গাছা গ্রামে বাঁকির থাকা নিয়ে অন্যরকম আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা৷ বাঁকি মণ্ডল কোনও সন্দেহভাজনকে এখানে ঢুকিয়ে থাকতে পারে৷ বসিরহাট-বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর ছক ছিল৷ গাছার পাশে ভেড়ি রয়েছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মাছ চাষ করানোর নামে ডোবা তৈরি করা হয়েছিল৷ সেখানে মাছ চাষ করা হয় বলে পুলিশ বা সাধারণ মানুষকে জানিয়েছিল সে৷ এভাবে চোখে ধুলো দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল সে৷ তাকে নজরবন্দিও করা হয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায় মাদক৷ গাছা হল বসিরহাটের সেই গ্রাম যেখান থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত একেবারে যেন পাশের গাঁ৷ গাছা গ্রামে তার বাড়ি রয়েছে৷ সেখানে তার বাবা সদ্য প্রয়াত৷ ভাই থাকেন৷ বাঁকি পাকাপাকি এখানে থাকত তা-ও তো নয়৷ বরং মাঝেমধ্যে আসত এবং কিছুদিন থেকেই উধাও হয়ে যেত৷ এখানে তার কাজ ছিল মূলত জঙ্গিদের সীমান্ত পার করিয়ে আনা ও আশ্রয় দেওয়া৷ গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এখানে অনেকসময় বাইরের লোকজনের আনাগোনা চলত৷ অপরিচিত মুখের ভিড় দেখলেও তাঁরা কিছু বলতেন না৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement