স্টাফ রিপোর্টার: রাজনীতিতে এখন কঠিন সময়৷ ঘরে-বাইরে তাঁকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে৷ এই অবস্থায় বাবা বিশ্বনাথের শরণাপন্ন হচ্ছেন মানস ভুঁইয়া৷ থাকছেন না আগামী শনিবার কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে৷ যদিও ঘনিষ্ঠমহলে তিনি জানিয়েছেন, কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই নেওয়া হয়েছিল৷ সেই মতো যাবতীয় ব্যবস্থা অনেক আগে থেকে করা৷ এখনকার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই৷ এই অবস্থায় পুরোহিত সময় পিছিয়ে দিলে তবেই পরিষদীয় দলের বৈঠকে যেতে পারবেন বলে মানস ভুঁইয়ার ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর৷
এদিকে ঘটনার পর তিনদিন কেটে গেলেও পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়বেন না বলেই অনড় বর্ষীয়ান কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া৷ ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, ১৭ জুন বিধানসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক হয়েছিল৷ তার পর থেকে আর কোনও পরিষদীয় দলের বৈঠক হয়নি৷ তাহলে কোন যুক্তিতে বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা না করে সুজন চক্রবর্তীকেই ‘কাছে’ করে নেওয়া হল? দলীয় সূত্রে খবর, সুজন চক্রবর্তীকে পিএসি-র চেয়ারম্যান করা হবে, এটা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান৷ তাহলে পিএসি-র কমিটিতে কেন আবদুল মান্নান তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নিয়েছিলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মানস ভুঁইয়া৷ সূত্রের খবর মানসবাবু ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরিকে ভুল বোঝাচ্ছেন আবদুল মান্নান৷
পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে সুজন চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাব করার আগে দলের বিধায়কদের মতামত নেওয়া হয়নি কেন, সেই প্রশ্নই উঠেছে রাজ্য কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে৷ আগামী শনিবার পরিষদীয় দলের বৈঠকে এই ইস্যুতে একপ্রস্থ ঝড় উঠছে বলেই খবর৷ সেখানে কংগ্রেস বিধায়কদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে৷ ওই বৈঠকে গন্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ তবে পরিষদীয় বৈঠকে সদস্যরা ছাড়াও সব বিধায়ক, সাংসদদের আসার জন্য কংগ্রেসের তরফে বলা হবে৷ রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মানসকেই রুখতেই অধীরপন্থীদের এই সিদ্ধান্ত৷ মানসের বিরোধিতায় যাতে সবাই সরব হন, তার জন্য সক্রিয়া হয়েছে প্রদেশ সভাপতিপন্থীরা৷ কারণ পিএসি-র চেয়ারম্যান পদকে কেন্দ্র করে মান্নান ও মানসের দ্বন্দ্বে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস৷ এদিকে আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিসকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসাবে দেখছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, “আবদুল মান্নান অ-সাংবিধানিক কথা বলেছেন৷ তাঁর মনে রাখা উচিত কংগ্রেসেরই এক নেতাকে জেল যেতে হয়েছিল৷” যদিও মান্নান বলেন, “জেলে যেতে হলে সেটা আমার কাছে গর্বের৷” দলেরই একটা অংশ মানসের বিরোধিতা করলেও অন্য একটা অংশ তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে৷ দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, বিরোধী দলনেতা হিসাবে আবদুল মান্নান ভূমিকা নিয়েও৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.