Advertisement
Advertisement

দলীয় বিধায়কদের কাছে অবস্থান ব্যাখ্যা করবেন মানস

“মানস প্যাঁচ কষছেন৷ স্রেফ নিজেদের ভুলে টুঁ শব্দটি করতে পারছেন না প্রদেশ নেতারা৷ সেখানে মানস আরও বিনয়ী৷ কাশী বিশ্বনাথের আশীর্বাদে আরও ক্ষুরধার৷ পালাবার পথ নেই৷”

 Manas Bhunia sends letters to the Party MLAs to make his stand clear
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 11, 2016 10:39 am
  • Updated:July 11, 2016 11:46 am  

স্টাফ রিপোর্টার: কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজোপাঠ শেষ৷ রবিবার রাতেই কলকাতা ফিরেছেন৷ দলের নেতাদের সাম্প্রতিক কার্যকলাপে ক্ষোভ থাকলেও আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে৷ আর দেরি করতে চাইছেন না৷ আজ সোমবারই সকাল সকাল বিধানসভায় এসে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে অবিলম্বে প্রথম বৈঠক ডাকতে চলেছেন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া৷ মঙ্গল বা বুধবার এই বৈঠক বসার কথা৷ একই সঙ্গে দলের ৩৯ বিধায়কের তরফ থেকে পিএ কমিটির পদ ছাড়ার জন্য যে অনুরোধের চিঠি পাঠানো হয়েছে, তারও জবাব দিচ্ছেন সবং বিধায়ক৷ এবং প্রত্যেককে আলাদা আলাদা৷ বলেছেন, “ওই বিধায়কদের প্রত্যেকের কাছে আমি ব্যাখ্যা করব, কী পরিস্থিতিতেতে কোন ঘটনা ঘটেছে৷ কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে আমায় এই অবস্থান নিতে হয়েছে৷” এমনকী, এআইসিসি চাইলে দিল্লি গিয়ে সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছেও অবস্থার ব্যাখ্যা দিয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কার্যকলাপ জানিয়ে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মানস ভুঁইয়া৷
আপাতভাবে প্রক্রিয়াটি সহজ মনে হলেও রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, প্রথমেই যে মোক্ষম চালে দলের নেতাদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিলেন মানস ভুঁইয়া, স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে নম্রভাবে সেই প্যাঁচই আরও দৃঢ় করলেন দলের প্রাক্তন সভাপতি৷ প্রথম থেকে বিধানসভার কার্যপ্রণালীর কথা তুলে ধরেছেন৷ পাশাপাশি দলের অবস্থানের প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁকে এভাবে অপমান করা হল কেন? প্রথমে তাঁকে দিয়ে পিএ কমিটির চেয়ারম্যান পদের নিয়োগপত্রে সই করিয়ে, পরে তাঁর অজান্তে কেন সেই পদে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর নাম পাঠানো হল৷ মানসবাবুর কথায়, “আমার কী দোষ? আমার কী অপরাধ? আমি তো কোনও বিদ্রোহ করিনি৷ আমার সে মানসিকতাও নেই৷ পিএ কমিটি একটা অতি ছোট বিষয়৷ তাতে এআইসিসি হস্তক্ষেপ করে না৷” এই প্রসঙ্গে আবারও অধীর-মান্নানের দিকে সরাসরি তোপ দেগেছেন মানস৷ বলেছেন, “দলে কোনও আলোচনা না করে, একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে অযাচিতভাবে বিষয়টিকে বিতর্কিত করে তুলেছেন অধীর-মান্নানরা৷”
এই গোটা পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়েই দলের ৩৯ বিধায়কের অনুরোধ-পত্রের উত্তর দিচ্ছেন মানস৷
তাঁর কথায়, দলের কাছে তিনি আগে, না সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, সেই প্রশ্ন তুলে তিনি চিঠি লিখবেন৷ যদি তা-ও হয়, তবে কোন পরিস্থিতিতে এই অবস্থা তৈরি হল, ব্যাখ্যা দেবেন তারও৷ এআইসিসি ডাকলে এই একই ব্যাখ্যা তিনি তুলে ধরবেন সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে৷ বলেছেন, “এআইসিসি চাইলে সবটুকু সেখানে বলব৷ আর একইসঙ্গে বলব, প্রদেশের নেতারা কে কীভাবে দলটাকে চালাতে চাইছেন৷” রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, মানসের হাতে নীতিগতভাবে সবরকম অস্ত্র রয়েছে বলেই আগ বাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ না করে স্রেফ ‘অনুরোধপত্র’ পাঠিয়ে ক্ষান্ত থাকতে হচ্ছে অধীর-মান্নানদের৷ সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ সভাপতি বলেছিলেন, পিএ কমিটির দায়িত্ব যোগ্য কাউকেই দেওয়া হয়৷ মানসবাবুর পাল্টা বক্তব্য, “আমায় একটা বছর দায়িত্ব দেওয়া হোক৷ প্রদেশ সভাপতি দেখুন আমি কেমন কাজ করি? তার পর না হয় যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন৷” যা নিয়ে কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার ব্যাখ্যা, “মানস প্যাঁচ কষছেন৷ স্রেফ নিজেদের ভুলে টুঁ শব্দটি করতে পারছেন না প্রদেশ নেতারা৷ সেখানে মানস আরও বিনয়ী৷ কাশী বিশ্বনাথের আশীর্বাদে আরও ক্ষুরধার৷ পালাবার পথ নেই৷”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement