স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম দার্জিলিং সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বরণ করে নিতে প্রস্তুত পাহাড়৷ পাহাড়জুড়ে রীতিমতো উৎসবের মেজাজ৷ পাহাড়ি পথের বাঁকে তোরণ, মুখ্যমন্ত্রীকে পাহাড়ে স্বাগত জানাতে ৬০ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে থাকছে মানব-বন্ধন৷ রোহিণী বাজার থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত পাহাড়ি রাস্তায় ওই মানব-বন্ধনের আয়োজন করছে জিএনএলএফ৷
তৃণমূলের তরফেও দার্জিলিংয়ের পথে মুখ্যমন্ত্রীকে বিপুল অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে হাজির থাকছেন পাহাড়ের বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডের সদস্যরাও৷ এর আগে ২৩ জানুয়ারি নেতাজি জন্ম-জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে শেষবার দার্জিলিংয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এর পর নির্বাচনী প্রচারে কার্শিয়াং এলেও দার্জিলিংয়ে যেতে পারেননি তিনি৷ ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এখন অধীর অপেক্ষায় শৈলশহরবাসী৷
আজ দুপুরের বিমানে বাগডোগরায় নেমে সরাসরি সড়কপথে দার্জিলিং চলে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মঙ্গলবার আসছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিমানে বাগডোগরায় নেমে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারে পৌঁছে যাবেন দার্জিলিংয়ের লেবং৷ রাজ্যের তরফে লেবং রেসকোর্সে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানানো হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাজির থাকবেন সেখানে৷ পাহাড়ে একসঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও মুখ্যমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে পিছিয়ে থাকছে না জিটিএ-ও৷ তাদের তরফে পাহাড়ের বিভিন্ন রাস্তায় তোরণ তৈরি করা হয়েছে৷ থাকছে বিভিন্ন পাহাড়ি জনজাতির সংস্কৃতি মেনে অভ্যর্থনা জানানোর অনুষ্ঠানও৷ চারদিনের সফরে দার্জিলিংয়ের রাজভবনে থাকছেন রাষ্ট্রপতি৷
১৩ জুলাই কবি ভানু ভক্ত-র জন্মদিন৷ এই উপলক্ষে দার্জিলিংয়ের ম্যালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও মুখ্যমন্ত্রীর হাজির থাকার কথা৷ ১৪ তারিখ দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে যোগ দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি৷ ১৫ জুলাই দুপুরে বাগডোগরা হয়ে রাষ্ট্রপতির ফেরার কথা৷ এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ তথা মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং৷
মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও তাদের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করবে৷ রাজনৈতিক দিক থেকে চাপে পড়ে যাওয়া মোর্চা এখন পাহাড়ে মেপে পা ফেলতে চাইছে৷ মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ৬০ কিলোমিটার রাস্তায় মানব-বন্ধনের মাধ্যমে জিএনএলএফ পাহাড়ে তাদের দলীয় শক্তি প্রমাণেরই চেষ্টা করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ জিএনএলএফের কার্শিয়াং মহকুমার আহ্বায়ক নিমা লামা বলেছেন, পাহাড়ি রাস্তার দু’ধারে মানব-বন্ধনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে চলেছেন তাঁরা৷ এ ছাড়াও রোহিণী, কার্শিয়াং, সোনাদা, ঘুম, দার্জিলিং–বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি সংস্কৃতির আদলে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা বরণ করে নেবেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.