Advertisement
Advertisement

ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্বের ফসল কুড়ানকুলাম: মোদি

কুড়ানকুলামের প্রথম ইউনিট দেশকে সঁপলেন মোদি-পুতিন৷

Kudankulam 1 is a fine example of strength of special and privileged Strategic Partnership between India & Russia: PM
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 11, 2016 1:18 pm
  • Updated:August 11, 2016 1:18 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তামিলনাড়ুর কুড়ানকুলাম পরমাণু বিদ্যুত্‍ প্রকল্পের প্রথম ১০০০ ওয়াট ইউনিটটি বুধবার জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা৷ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ভিডিও কনফারেন্সিং ইভেন্টে এক পর্দায় হাজির হলেন তিন নেতা-নেত্রী৷ প্রধানমন্ত্রী মোদি ছিলেন নয়াদিল্লিতে, প্রেসিডেন্ট পুতিন ছিলেন মস্কোতে এবং জয়ললিতা চেন্নাইয়ে৷ কয়েকদিন আগে এভাবেই বেনাপোলে স্থলবন্দরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একত্র হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারতে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উৎপাদনে প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে ইন্দো-রুশ প্রকল্প কুড়ানকুলাম-১-এর যুক্ত হওয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷” তিনি আরও বলেন, “আমি সব সময়ই রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কে গর্ব করি৷ সে কারণেই এই প্রকল্পটি আমরা যৌথভাবে উৎসর্গ করলাম৷ সবুজ বিকাশের ক্ষেত্রে যৌথ প্রয়াসের পথ তৈরিতে উভয় পক্ষের প্রতিশ্রূতিরও ইঙ্গিত এটি৷” মস্কো থেকে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, “এই প্রকল্পটিতে সর্বাধুনিক রুশ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে৷ এটি শুধুমাত্র একটি বিদ্যুত্‍ কেন্দ্রের নির্মাণ নয়৷ সবাই ভাল জানে, পরমাণু প্রযুক্তিতে রাশিয়া অন্যতম সেরা৷ আমরা আমাদের এই প্রযুক্তির ভাগ ভারতীয় সহকর্মীদের দিতে পেরে গর্বিত৷” চেন্নাই থেকে মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা বলেন, “ভারত ও রাশিয়ায় দীর্ঘ সময়ের গভীর বন্ধুত্বের স্মারক এই পরমাণু বিদ্যুত্‍ প্রকল্প৷” সেকারণেই তিনি তাঁর ১০ বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বের সময়ে কুড়ানকুলামের এই প্রকল্পে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে এসেছেন৷

Advertisement

কুড়ানকুলাম পরমাণু বিদ্যুত্‍ প্রকল্পে রাশিয়ার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ ভিভিইআর শ্রেনির রিঅ্যাক্টর ব্যবহার করা হয়েছে৷ আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষের দিকে এর দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হবে৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদের কারণে প্রথম ইউনিটটিতে কাজ শুরু হতে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে৷ উৎপাদন শুরুর আগে তাঁরা এর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছিলেন৷ ২০১৪ সালের এপ্রিলে প্রেসারাইজড ওয়াটার রিয়্যাক্টর ভিভিইআর-১০০০ বসানো হয়৷ এই বছরেরই ডিসেম্বরে বাণিজ্যিকভাবে কাজ শুরু করে সেটি৷ যা সেই সময়ে তামিলনাড়ুর বিদ্যুত্‍ সংকট কাটাতে বড় সাহায্য করেছিল৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement