Advertisement
Advertisement

রাহুলের সেঞ্চুরি, বড় রানের পথে বিরাটরা

রাহুলের শহরের আর এক রাহুল কিন্তু ভারতীয় দলকে নির্ভরতা দিতে তৈরি হয়ে উঠছেন৷

KL Rahul becomes first Indian opener to score ton on debut in West Indies, India heads to big score
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 1, 2016 12:28 pm
  • Updated:August 1, 2016 12:31 pm  

দেবাশিস সেন, সাবাইনা পার্ক: ‘পিকচার অব দ্য ডে’ বললেও বোধহয় এতটুকু অত্যুক্তি হবে না!

রাহুলের সেঞ্চুরির পর মাঠে জল নিয়ে এলেন মুরলী বিজয়৷ জড়িয়ে ধরলেন কর্নাটকের ওপেনারকে৷ তিনি ফিট থাকলে, জামাইকা টেস্টে মাঠে নামাই হত না রাহুলের৷ যা দেখে ধারাভাষ্যকাররাও বলে দিলেন, “দারুণ টিম স্পিরিট৷”

Advertisement

প্রথম টেস্টে চোট পেয়েছিলেন বিজয়৷ ম্যাচের আগের দিন জানা যায়, জামাইকাতে খেলতে পারছেন না তিনি৷ তাঁর বদলে দলে আসছেন রাহুল৷ আর সুযোগটা যে কত ভালভাবে কাজে লাগালেন, সেটা স্কোরবোর্ড বলছে৷ এখন তাঁর নামের পাশে ১৫৮৷  প্রথম ভারতীয় হিসেবে অভিষেক টেস্টে ওপেনার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি৷

ভারতীয় ড্রেসিংরুমে মজা করে বলা হয়, ষোলো পেরিয়ে গেলে সেঞ্চুরির কমে থামবেন না রাহুল৷ আর সত্যি বলতে কী গোটা ইনিংসে একবারের জন্যও মনে হয়নি সেঞ্চুরির আগে থামতে পারেন তিনি! রাহুলের শহরের আর এক রাহুল কিন্তু ভারতীয় দলকে নির্ভরতা দিতে তৈরি হয়ে উঠছেন৷ এই নিয়ে ছ’নম্বর টেস্টে তিনটে সেঞ্চুরি হয়ে গেল৷ সবগুলোই আবার বিদেশের মাটিতে৷

ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সব টেস্টেই মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছিল৷ বিজয়, শিখর সুস্থ থাকলে তাঁর ভাগ্যে যে শিকে ছিড়বে না, সেটা ভাল করেই জানেন তিনি৷ এই তো প্রস্তুতি ম্যাচে রান করার পরও প্রথম টেস্টে সুযোগ হয়নি৷ তবু নিজের ফোকাস কখনও নড়তে দেন না৷ জানেন, যে সুযোগটা আসবে, সেটাই কাজে লাগাতে হবে৷ জামাইকা টেস্টেও সেটা করে দেখালেন৷ ম্যাচের মাঝে ধারাভাষ্যকাররা মজা করে বলছিলেন, “রাহুল সেঞ্চুরি করে বিপদে ফেলে দিল বিরাটকে৷ কারণ পরের ম্যাচে বিজয় সুস্থ হয়ে গেলে, টিম করতে সমস্যায় পড়তে হবে৷”

রবিবার খেলার আগে ভিভ রিচার্ডস টিভিতে বলছিলেন, সকালটা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে পারে, তাহলে ম্যাচে ফিরতে পারবে৷ কিন্তু রাহুল যেভাবে ব্যাট করে গেলেন, তাতে একবারের জন্যও মনে হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা সমস্যায় ফেলতে পারে৷  রাহুল আগের দিন ৭৫ নট আউট ছিলেন৷ বেঙ্গালুরুর তরুণের খেলার মধ্যে ঝুঁকি এড়ানোর প্রবণতা রয়েছে৷ সকালে যখন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল আর জেসন হোল্ডার  তাঁকে বল করা শুরু করলেন, খেললেন ‘ভি’ শেপের মধ্যে৷ অর্থাৎ একবার মিড অফ, তো একবার মিড অন৷ আর পায়ের সামনে বল এলে স্কোয়ার লেগে ফ্লিক করে ছোট্ট সিঙ্গলস৷ সেঞ্চুরির পর যেভাবে ব্যাট তুলে সেলিব্রেশন করলেন, সেটাই বুঝিয়ে দিল, কতটা তৃপ্ত তিনি৷ বরং উল্টোদিকে পুজারাকে ততটা আত্মবিশ্বাসী দেখাল না৷ দিনের প্রথম রান করতে প্রায় একঘণ্টা নিয়ে নিলেন সৌরাষ্ট্রের এই ক্রিকেটার৷ প্রশ্ন উঠল, এত স্লো কেন ব্যাট করছেন তিনি? টেস্টের থিওরি অনেক বদলেছে৷ সারাদিন ব্যাট করে পঞ্চাশ করার দিন আর নেই৷ বরং জিততে গেলে এখন ওভার পিছু সাড়ে তিন-চার রানের পিছনে ছুটতে হয়৷ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলেন, যত দ্রূত রান করা যাবে, বিপক্ষের কুড়ি উইকেট নেওয়ার চান্স তত বাড়বে৷ সেখানে পুজারা রীতিমতো ঘুমপাড়ানি ক্রিকেট খেলে গেলেন৷ অবশ্য ড্রিঙ্কসের পর কিছুটা হাত খুললেন বটে৷ কিন্তু হাফসেঞ্চুরি করতে পারলেন কোথায়! ১৫৯ বলে ৪৬ করে রান আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন৷ পুজারা আউট হওয়ার পর কিছুটা হাততালি৷ সেটা উইকেট পড়েছে বলে নয়, বিরাট নামছেন তাই৷ আ্যাণ্টিগা টেস্টে ডবল সেঞ্চুরি করে এসেছেন৷ তারপর থেকে ভিভদের দেশ শুধুই বিরাটময়৷ গেইলের শহরও তাঁর ব্যাট থেকে আগের মতোই আরও একটা ইনিংস দেখার অপেক্ষায়৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement