ছবি: প্রতীম মৈত্র
সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: জলের উপর দিয়ে হেঁটে পৌঁছে যেতে হবে অত্যন্ত প্রাচীন মন্দিরে। আর মন্দিরের ভিতরে আবার ভুলভুলাইয়া। হারিয়ে যেতে পারেন যেকোনও মুহূর্তে। জল মানে সত্যিই অতলান্ত। জলে রয়েছে মাছ, হাঁসের মতো নানা জলচর প্রাণী। সম্পূর্ণ কাচ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মন্দির প্রাঙ্গণ আর মন্দির। আর মন্দিরের ভিতরটি আয়না দিয়ে এমনভাবে করা হয়েছে যে মনে হবে একটি ভুলভুলাইয়া। আর কালী প্রতিমাটিও সম্পুর্ন কাঁ দিয়ে তৈরি নির্মিত হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম শহরের কেশবডিহিতে “গভীর জলে উদীয়মান কাচের মন্দির” এই থিমের উপর নির্ভর করে তৈরি হচ্ছে সম্পুর্ন কাচ দিয়ে মণ্ডপ, প্যান্ডেল এবং প্রতিমা। ৩৯তম বর্ষে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয়ে কেশবডিহি স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালনায় সর্বজনীন শ্যামাপূজা কমিটি এবার তাদের বিষয় ভাবনায় “গভীর জলে উদীয়মান কাচের মন্দির” কে দারুন আকর্ষণীয় করে তুলছে। পুরো বিষয়টিকে রূপ দিতে কেশবডিহি স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্যরা নিজেরাই লেগে পড়েছেন কাজে।
ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে একটি প্রাচীন মন্দিরকে প্যান্ডেল করা হচ্ছে। দশর্নাথীদের এই প্রাচীন মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে প্রতিমা দেখতে হলে তাদের পেরিয়ে আসতে হবে জলাশয়ের জল। গভীর এই জলাশয়ে থাকবে নানা ধরনের জলচর প্রাণী। এই বিষয়টিকে রূপ দিয়ে প্যান্ডেলের সামনে করা হচ্ছে একটি জলাশয়। আর এই জলাশয়ে থাকবে অ্যাকোয়ারিয়ান। জলের উপরিভাগ ঢাকা থাকবে সম্পূর্ণ কাচ দিয়ে। আর তাই দশর্নাথীরা যখন প্রবেশ করবেন তখন তাদের জলের উপরে কাচের বিছানো চাদর দিয়ে যেতে হবে। তাদের মনে হবে তারা যেন জলের উপরে হাঁটচ্ছেন। সম্পুর্নভাবে কাচ দিয়ে তৈরি কেশবডিহি স্পোর্টিং ক্লাব পরিচালিত এই পুজা মণ্ডপ গতবারের ষাট ফুট কালীর মতোই দারুন আকর্ষণ করবে দর্শকদের এমন মনে করচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
[ভূতের আতঙ্ক কাটাতেই মোটর কালীর পুজো শুরু বালুরঘাটে]
কেশবডিহি স্পোর্টিং ক্লাবের দুই তরুণ সদস্য শান্তনু পাল রয়েছেন প্রতিমা ভাবনায় এবং প্যান্ডেলটির বিষয় ভাবনায় রয়েছেন বীরয় মল্লদেব। আর এই দুজন মিলেই পুরো কাজটি সম্পাদনা করছেন। সম্পাদক সুপ্রকাশ মিত্র আশাবাদী এবারও তাদের মণ্ডপ দর্শনে মানুষের ঢল নামবে। শান্তনু পাল এবং বীরয় মল্লদেব বলেন,“আমরা চেষ্টা করছি ভাবনাটিকে সম্পূর্ণ ফুটিয়ে তোলার। পুরো প্যান্ডেল, প্রতিমা, মণ্ডপ প্রাঙ্গণ তৈরি হচ্ছে কাচের। প্যান্ডেলের ভিতরটি এমনভাবে আয়না দিয়ে করা হচ্ছে মনে হবে ভুলভুলাইয়া। দর্শকদের জলের উপর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। আরও অনেক কিছু থাকছে। এখনই সব বলে দিলে রহস্য থাকবে না। দর্শনার্থীদের খুবই ভাল লাগবে আশা করছি।”
ছবি: প্রতীম মৈত্র
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.