সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯ বছর ধরে রণথম্বোরের জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়িয়েছে সে৷ সারা বিশ্বে আর কোনও বাঘিনী এতবার শাটারবাগদের ফ্রেমবন্দি হয়নি৷ তাই বছরের পর বছর ধরে রণথম্বোর জাতীয় উদ্যানের রানি মছলি ওরফে T-16৷ কিন্তু, শেষপর্যন্ত বয়স চরম থাবাটি বসিয়েই দিল৷ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল রণথম্বোরের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাঘিনী৷
বনবিভাগ সূত্রে খবর, গত পাঁচ দিন ধরে কিছুই খায়নি মছলি৷ আমা ঘাটি এলাকার এক জায়গায় দূর্বল শরীর নিয়ে পড়ে ছিল৷ বনবিভাগের কর্মীরা ও চিকিৎসকদের একটি দল ক্রমাগত নজর রাখছিল তার উপর৷ কিছু খাবারও সরবরাহ করা হয়েছিল৷ কিন্তু কিছু খাওয়ানো সম্ভব হয়নি৷
১৯ বছরের জীবনের গোড়া থেকেই থেকে রণথম্বোরের জঙ্গলে জনপ্রিয় ছিল মছলি৷ মুখের পাশে মাছের মতো দেখতে একটি দাগ থাকায় তার নাম হয়ে গিয়েছিল মছলি৷ জন্ম দিয়েছিল ১১টি শাবকের৷ দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসতেন তার দেখা পেতে৷ তার শিকার, কুমিরের সঙ্গে লড়াইয়ের কাহিনীর সাক্ষী হতে৷ এর জন্য বছরে কোটি কোটি টাকা আয়ও হত রণথম্বোর জাতীয় উদ্যানের৷
১৯ বছরের জীবনে অনেকবারই মৃত্যুর পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে গেছে মছলি৷ ভেঙে দিয়েছে বাঘেদের ১৩-১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার মিথ৷ কিন্তু, এবারে মছলির শারীরিক অবস্থা একটু বেশিই খারাপ হয়ে উঠেছিল৷ বনবিভাগে এক কর্মীর কথায়, দেখে মনে হচ্ছিল যেন মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুণছে রণথম্বোরের রানি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.