সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: সন্ত্রাস মোকাবিলায় ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই প্রতিশ্রুতিই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোলে আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল৷ এই অনুষ্ঠানে দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷ ঢাকায় ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর নবান্নে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকে বাংলায় ইদের শুভেচ্ছা জানান৷ একই সঙ্গে রমজান মাসে ঢাকায় জঙ্গি হানায় নিরীহ মানুষের মৃত্যুতেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷
মোদি বলেছেন,“ঢাকা ও কিশোরগঞ্জের ঘটনা দুঃখজনক৷ রমজান মাসে এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি৷ আগামী দিনে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাব৷” বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’ তৈরির ফলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তাঁর কথায়,“দু’দেশের বাণিজ্যের অন্তত ৫০ শতাংশ এই পথেই হবে৷ বছরে অন্তত ১৫ লক্ষ মানুষ, ও দেড় লক্ষ ট্রাক দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের কাজে যুক্ত থাকবে৷ প্রায় ১৪২ কোটি টাকা খরচ করে এই স্থলবন্দর তৈরি হয়েছে৷ আগামী দিনে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে এমন অত্যাধুনিক আরও আটটি স্থলবন্দর তৈরি হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান৷ নতুন স্থলবন্দর তৈরিতে মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ায় তাঁকেও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী৷
এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি বলেন,“এই নতুন স্থলবন্দর চালু হওয়ায় ব্যবসার নতুন দিক খুলে দিল৷” তিনি বলেন, “শুধুমাত্র বাস ও রেল পরিষেবা চালুই নয়৷ দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে এই ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট চালু হওয়ার ফলে৷ শেখ হাসিনার কথায়, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে৷” দুই দেশের মধ্যে কোনও সমস্যা থাকলে তাও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন শেখ হাসিনা৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ২১ জুলাই ঐতিহাসিক দিন৷ তাই আজকের দিন উন্নয়নেরও৷ তাই সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে”৷ স্থলবন্দর তৈরিতে রাজ্য সরকার বিশেষ উদ্যোগী হয়েছিল৷ প্রায় একশো একর জমিতে তৈরি হয়েছে এটি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভষ্যিতেও প্রয়োজনে সাহায্য করা হবে৷ বন্দরের জন্য একটি নতুন থানা তৈরি হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন,“আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি৷” বাংলাদেশের পাশাপাশি প্রতিবেশী নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নত করার উপর গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ স্থলবন্দর চালুর ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.