ছবি : প্রতীকী
অর্ণব আইচ: পরিচয় সৌদি আরবে (Soudi Arabia)। ঘনিষ্ঠতা কলকাতায়। কিন্তু ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ ও তার পরই বন্ধুটি কলকাতা থেকে হায়দরাবাদে (Hyderabad) পালিয়ে যান, এমনই অভিযোগ অধ্যাপিকার। এমনকী, ওই মডেল বন্ধুটি বিভিন্ন অছিলায় তাঁর কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ৩০ লক্ষ টাকা। মহিলার অভিযোগেই হায়দরাবাদের এক মডেলকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশ। সেখান থেকেই মহম্মদ মুকরাম নামে পেশায় মডেলকে গ্রেপ্তার করে রবিবার কলকাতায় নিয়ে আসেন পার্ক স্ট্রিট থানার আধিকারিকরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক শুরু হয়। কলকাতা থেকে সৌদি আরবে একটি কলেজে পড়াতে গিয়েছিলেন যুবতী। হায়দরাবাদ থেকে ‘ভাগ্য অন্বেষণে’ সৌদি আরবে গিয়েছিলেন মুকরাম। কিন্তু ওই মডেল বিদেশে গিয়ে নিজের পেশায় বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। কিন্তু তার বদলে কাজ নেন ক্যাব চালকের। একদিন আরোহী হিসাবে মুকরামের ক্যাবে ওঠেন ওই যুবতী তথা ওই দেশের একটি কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা। ভারতীয় হিসাবে দু’জনের পরিচয় হয়। মুকরাম কলকাতার বাসিন্দা ওই যুবতীকে জানান, তাঁরও কলকাতায় প্রায়ই যাতায়াত আছে। সেখানে তাঁর পরিচিতরা থাকেন। ক্রমে দু’জনের মধ্যে কথা শুরু হয়। ছুটির দিনে দু’জন একসঙ্গে ঘুরতে যেতেন। ক্রমে দু’জনের মধ্যে জমে ওঠে প্রেম।
২০২০ সালে দুজনই ফিরে আসেন এই দেশে। যুবকও থাকতে শুরু করে কলকাতায়। এই শহরে শুরু হয় দুজনের ঘনিষ্ঠতা। যুবতীর অভিযোগ অনুযায়ী, পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলে তাঁর বাড়িতেও যেতেন যুবক। আবার কখনও বা একসঙ্গে সময় কাটাতে যেতেন কোনও হোটেলে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে যুবক তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। এর পর বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দফায় দফায় ওই যুবতী অধ্যাপিকা বান্ধবীর কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু কয়েক মাস আগে বিয়ের জন্য চাপ দিতেই যুবক সোজা চলে যান হায়দরাবাদে। সেখানে পুরনো পেশা মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান। যুবক যোগাযোগ প্রায় বন্ধই করে দেন বান্ধবীর সঙ্গে। বান্ধবীকে ফেরত দেননি ‘ঋণ নেওয়া’ ওই টাকাও। এর পরই ওই যুবতী পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে পুলিশ হায়দরাবাদে তল্লাশি চালিয়ে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। ওই মডেলকে জেরা করে এই ব্যাপারে আরও তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.