দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: এলাকায় মদ, গাঁজার ঠেকের প্রতিবাদের মাশুল। হুগলির বৈদ্যবাটিতে আক্রান্ত প্রাক্তন এক সাতারু। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় কয়েকজন সমাজ বিরোধীরা। ওই ব্যক্তিকে বেধকড় মারধর করে তারা। রেহাই পাননি ওই ব্যক্তির বৃদ্ধার মা-ও। শুক্রবার সকালে ২ জনকে আটক করে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় কাউন্সিলর বাবলু দাস অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন আক্রান্ত ব্যক্তি।
[দামি মোবাইল ছিনতাইয়ে বাধা, চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলা দেওয়া হল যাত্রীকে]
বৈদ্যবাটি পুর এলাকার মধ্যেই পড়ে রাজারবাগান কলোনি। সেখানে বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে থাকেন রবীন্দ্রনাথ দাস। এককালে সাতারু হিসেবে এলাকায় নামডাক ছিল তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাজারবাগান কলোনিতে দীর্ঘদিন ধরেই নির্মীয়মান বাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, গত বেশ কয়েক দিন ধরে ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে মদ ও গাঁজার আসর বসাচ্ছে বহিরাগত সমাজবিরোধীরা। এমনকী, মধুচক্রও চলছে বলে অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দাদের সংযোজন, বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ তো হয়ইনি, উলটে তাঁদের হুমকি দিয়েছে সমাজবিরোধীরা। এমনকী, প্রশাসনের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। বুধবার সন্ধ্যায় ফের মদ, গাঁজার আসর বসানো নিয়ে গণ্ডগোল হয় রাজারবাগান কলোনিতে। সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এলাকারই যুবক রবীন্দ্রনাথ দাস। অভিযোগ, তাঁকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা।
ঘটনায় কথা শেওড়াফুলি ফাঁড়ি ও স্থানীয় কাউন্সিলর বাবলু দাসকে জানানো হয়। বেশ কয়েকজনকে আটকও করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর বাবলু দাসের হস্তক্ষেপে ছাড়া পেয়ে যায় অভিযুক্তরা। বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন কাউন্সিলর। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ফের রবীন্দ্রনাথ দাসের বাড়িতে চড়াও হয় অভিযুক্তরা। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। রেহাই পাননি প্রাক্তন ওই সাতারুর বৃদ্ধা মা-ও। দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন এলাকার আরও ৫ জন বাসিন্দাও। শুক্রবার সকালে ২ জন অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন এলাকার লোকজন। তাদের স্থানীয় একটি ক্লাবে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় শেওড়াফুলি ফাঁড়িতে। ২ জনকে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনায় এলাকা রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজারবাগান কলোনির বাসিন্দা।
[লালগড়ের জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার! বন দপ্তরের ক্যামেরায় অবিশ্বাস্য ছবি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.