ছবিতে কানাইপুর গ্রামের দুর্গা প্রতিমা।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দুশো বছর পরে মাতৃ আরাধনায় মাততে চলেছে হুগলির কানাইপুর গ্রাম। এবারেই প্রথম সেখানে দুর্গাপুজো হচ্ছে। শেষ কবে এই গ্রামে দুর্গাপুজো হয়েছিল, সেকথা গ্রামের বাসিন্দাদের অধিকাংশই মনে করতে পারছেন না। তবে বহু আগে যে পুজো হত, সেকথা তাঁরা দাদু ঠাকুমাদের মুখ থেকে শুনেছেন বলেই জানালেন গ্রামের বয়স্ক মানুষজন।
বালি দেওয়ানগঞ্জ অঞ্চলের বর্ধিষ্ণু গ্রাম কানাইপুরের প্রধান উৎসব দোল। সেসময় প্রায় চারদিন ধরে তাতেই গ্রামের মানুষ মেতে থাকেন। দুর্গোৎসবের আনন্দ দোলেই মিটিয়ে ফেলতেন গ্রামের মানুষ। পাশের গ্রামে পুজো হয়। সেখানেই প্রতিমা দর্শন করতে যেতেন কানাইপুরবাসী। ঠাকুর দেখতে হলে আসা-যাওয়া মিলিয়ে প্রায় চার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হত সকলকেই। বয়স্ক মানুষজনের পক্ষে হেঁটে প্রতিমা দর্শন করতে যাওয়ার কষ্ট লাঘব করা জরুরি। তাই গ্রামে দুর্গাপুজো আয়োজনের কথা বলেন স্থানীয় যুবক আদিত্য ঘোষ। আর তাতে সায় দেন গ্রামের অধিকাংশ মানুষজন। মাত্র মাসখানেক আগেই দুর্গাপুজোর ভাবনা চিন্তা হচ্ছিল। আজ ষষ্ঠীর দিন তা বাস্তব।
আজ হয় পুজোর উদ্বোধন। প্রথমবার মৃন্ময়ী মাতৃ আরাধনা শুরু হচ্ছে বলে আসল মায়েদের সম্মান জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে পুজো কমিটির। গ্রামের সব মা-কে পুজোয় বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁদের মণ্ডপের মূল মঞ্চে পুষ্পবৃষ্টি করে ও শাঁখ বাজিয়ে বরণ করা হয়। পুজোর মূল উদ্যোক্তা আদিত্যবাবু বলেন, “আজকালকার দিনে এমন বহু ঘটনা শুনি যে সন্তানরা বাবা-মাকে অবহেলা করছেন। মায়েদের বিশেষ সম্মান জানিয়ে আমরা সকলকে এই বার্তাও দিতে চাই যে, শুধুমাত্র মৃন্ময়ী মা নয়, আমাদের মায়েরাই আসল দুর্গা।” ছোট পুজো কিন্তু তাতে উৎসাহে ভাটা নেই। প্রথমবার পুজোয় সাধ্য না থাকলেও চমক দেওয়ার সাধ রয়েছে পুজো কমিটির সদস্যদের। তাই পুজোর উদ্বোধন গ্রামের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের হাত দিয়েই হতে চলেছে। মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে যে পড়ুয়া ভাল ফল করেছে তার হাত দিয়েই এই পুজোর উদ্বোধন হতে চলেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.